জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনে ৫ লাখ ৬০ হাজার শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। এর মধ্যে ৬–১১ মাসের ৯০ হাজার শিশুকে ১ লাখ ইউনিটের নীল রঙের এবং ১২–৫৯ মাসের ৪ লাখ ৭০ হাজার শিশুকে ২ লাখ ইউনিটের লাল রঙের ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। আগামীকাল শনিবার চসিকের সাতটি ইপিআই জোনের আওতায় ৪১ ওয়ার্ডে ১ হাজার ৩২১টি কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ ক্যাম্পেইন চলবে। অপরদিকে এ বছর চট্টগ্রামের ১৫ উপজেলার ২০০ ইউনিয়নের ৬০০ ওয়ার্ডে ৮ লাখ ২৫ হাজার ৭১৬ জন শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে ৬ থেকে ১১ মাস বছর বয়সী ৯২ হাজার ৭২৭ জন এবং ১২ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৭ লাখ ৩২ হাজার ৯৮৯ জন শিশু। সকাল ৮ থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে এ কার্যক্রম। এবারের ক্যাম্পেইন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য স্থায়ী টিকা কেন্দ্র রয়েছে ১৭টি, ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্র রয়েছে ১৫ টি এবং অস্থায়ী কেন্দ্র রয়েছে ৪ হাজার ৮০০টি। গতকাল সকালে টাইগারপাস চসিক কার্যালয়ে এবং দুপুরে চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের পৃথক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ ইমাম হোসেন রানা, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. হোসনে আরা, সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোঃ রফিকুল ইসলাম, ডা. তপন কুমার চক্রবর্তী, জোনাল মেডিকেল অফিসার ডা. সুমন তালুকদার, ডা. আকিল মাহমুদ নাফে, ডা. আবদুল মজিদ সিকদার, ডা. শর্মীলা রায়, ডা. মামুন রশিদ।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলার সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, ডেপুটি সিভিল সার্জন তৌহিদুল ইসলাম, এমওডিসি ডা. নুরুল হায়দার, স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক সুজন বড়ুয়াসহ আরও অনেকে।