চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও থানা এলাকায় এইচএসসি পরীক্ষার্থী তানভীর ছিদ্দিকী (১৯) নিহতের ঘটনায় মামলা হয়েছে। আজ শনিবার (১৭ আগস্ট) ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর চাচা মোহাম্মদ পারভেজ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
এতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাছান চৌধুরী নওফেলসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন, নগর আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মশিউর রহমান চৌধুরী, ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. এসরারুল হক, জামালখান ওয়ার্ড কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, চকবাজারের ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুর মোস্তফা টিনু, নগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি, নগর আওয়ামী লীগ নেতা বাবর আলী, যুবলীগ নেতা মো. কাইসার, মাহবুব আলম, মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তারেক বিন ওসমান শরীফ, নোমান শরীফসহ অনেকে।
এছাড়া আসামি করা হয়েছে নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মহিউদ্দীন ফরহাদ, মো. দেলোয়ার, মো. জালাল, মো. ফরিদ, সিটি কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি মো. তাহসীন, সিটি কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক হোসাইন অভি, এইচ এম মিঠু, নুরুল আলম প্রকাশ কালা বদা, আরিফ ইফতেকার রশিদ, ওসমান গণি, থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ইলিয়াছ বাবুল, মাইনুল ইসলাম শরীফ, চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জিয়াউদ্দীন আরমান, যুগ্ম সম্পাদক মনির উদ্দিন, যুবলীগ নেতা মো. ফিরোজ, মোঃ জাফর, জাফর আলম, মনছুর আবেদীন, আবুল হাসনাত, মোহাম্মদ সুমন উদ্দীন, বাঁশখালী উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক মিজান সিকদার, যুবলীগ নেতা মো. শোয়াইবসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৪০-৫০ জনকে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়-গত ১৮ জুলাই দুপুরে সারাদেশে শাটডাউন কর্মসূচি চলাকালে ভুক্তভোগী তানভীরসহ ছাত্রজনতা নগরের মুরাদপুর থেকে মিছিল নিয়ে গিয়ে বহদ্দারহাটে গিয়ে অবস্থান নেয়। এসময় হাসিনা ও নওফেলের নির্দেশে অন্যান্য আসামিরা গুলি করে। এতে তানভীর, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হৃদয় চন্দ্র তড়ুয়া ও পথচারী সাইমন ওরফে মাহিন (১৬) নিহত হন।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নগর পুলিশ উত্তর জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মো. জাহাঙ্গীর। তিনি বলেন, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বায়েজিদ বোস্তামী থানার আশেকান আউলিয়া ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার চাচা বাদী হয়ে এজাহার জমা দিলে মামলাটি রুজু হয়।