আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের আড়াই লাখ তরুণ ভোটার প্রথমবারের মত তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। যাদের জন্ম ২০০৮ সালের ১ জানুয়ারি বা তারও আগে এমন আড়াই লাখ তরুণ হালনাগাদ ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। আগামী ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি তাদের ১৮ বছর পূর্ণ হবে এবং তারা ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন বলে চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিস থেকে জানা গেছে। নির্বাচন কমিশনের জারি হওয়া পরিপত্র অনুযায়ী, ২০০৮ সালের ১ জানুয়ারি যাদের জন্ম তাদের এবারের হালনাগাদ ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। প্রথমবারের মতো ভোটার তালিকায় তাদের নাম উঠেছে।
চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ২০০৮ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে যাদের জন্ম কিংবা যারা হালনাগাদের কার্যক্রম থেকে বাদ পড়েছেন এমন প্রায় ৩ লাখের মতো নতুন ভোটার হালনাগাদ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে প্রায় আড়াই লাখের মতো ভোটারের বয়স আগামী ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি ১৮ বছর পূর্ণ হবে। ওই সময় তারা প্রথমবারের মত নিজেদের মতামতের ভিত্তিতে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। ইতোমধ্যে সরকার আগামী ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাবনার কথা বলেছেন। আর সে অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশন তাদের প্রাথমিক প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছেন। গত এক দশকে দেশে ভোটার বেড়েছে সোয়া ৩ কোটি, যাদের বয়স কিনা ১৮ থেকে ২৯ বছর। আর তাদের জীবনে তিনটি জাতীয় নির্বাচন এলেও স্বাদ পাননি ভোটাধিকার প্রয়োগের।
চট্টগ্রামে মোট ভোটার সংখ্যা ৬৫ লাখ ৩১ হাজার ৬১৮ জন। এরমধ্যে মহানগরীতে ১৯ লাখ ৭৯ হাজার ২৪৮ জন। জেলার ১৫ উপজেলায় ভোটার সংখ্যা ৪৫ লাখ ৫২ হাজার ৩৭০ জন। এরমধ্যে ১৮ থেকে ২৯ বছরের ভোটার সংখ্যা ১২ লাখের উপরে।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের সময় ভোটার সংখ্যা ছিল ৯ কোটি ১৯ লাখ ৬৫ হাজার ১৬৭ জন। সেই হিসেবে এক দশকে ভোটার বেড়েছে তিন কোটি ২৫ লাখ ১৫ হাজার ৫২০ জন। এরপর ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ছিল ১০ কোটি ৪১ লাখ ৫৬ হাজার ২৬৯ জন।
এদিকে ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ভোটার ছিল ১১ কোটি ৮৯ লাখ ৮৯ হাজার ২৪১ জন। এবার হালনাগাদে ভোটার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াচ্ছে কমপক্ষে ১২ কোটি ৪৪ লাখ ৮০ হাজার ৬৮৭ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ৬ কোটি ৩৪ লাখ ৫৮ হাজার ৪৭৮ জন, নারীর সংখ্যা ছয় কোটি ১০ লাখ ২১ হাজার ১৪২ জন। হিজড়া রয়েছে ১ হাজার ৬৭ জন।