চট্টগ্রামে হঠাৎ করে কেন এই লোডশেডিং

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ৩১ অক্টোবর, ২০২৪ at ৬:৩২ পূর্বাহ্ণ

কার্তিকের গরমের সঙ্গে কুলিয়ে উঠতে পারছে না বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা। দিনেসন্ধ্যা ও রাতে লোডশেডিংয়ের মাত্রা ওঠানামা করছে। চট্টগ্রামে পিডিবির হিসেব অনুযায়ী দুপুরেসন্ধ্যা ও রাতে যে পরিমাণ লোডশেডিংয়ের কথা বলা হয় বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, লোডশেডিংয়ের পরিমাণ আরও বেশি। পিডিবির অনেক সাব স্টেশনের নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ সরবরাহ কম পাচ্ছেন তারা।

হঠাৎ করে কেন এই লোডশেডিংএর কারণ জানতে গিয়ে মোটা দাগে দুটি বিষয় সামনে এসেছে। প্রথমটি হলো, বিদ্যুৎকেন্দ্রে জ্বালানি (গ্যাসকয়লা ও ফার্নেস অয়েল) সংকট। আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে, কার্তিকের তীব্র গরমে কুলিং লোড বেড়ে যাওয়া। প্রতি বছর গ্রীষ্মের পর শরৎ ও হেমন্তের এই সময়ে অর্থাৎ কার্তিক মাসে তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে যায়, যা সামাল দিতে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে হয়। এবার কার্তিকের এই সময়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ঘাটতিও লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

এই ব্যাপারে পিডিবি চট্টগ্রাম আঞ্চলের সার্কেল (পূর্ব) এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শহীদুল ইসলাম মৃধা আজাদীকে বলেন, চট্টগ্রাম রাউজান তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ২১০ মেগাওয়াটের দুটি কেন্দ্র এবং মাতারবাড়ি ৬০০ মেগাওয়াটের দুটি ইউনিট বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫ নম্বর ইউনিট, ১০০ মেগাওয়াটের এনার্জি প্যাক, শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ কেন্দ্র, রিজেন্ট পাওয়ার এবং ৫০ মেগাওয়াটের ইউনাইটেড পাওয়ার প্লান্টটিও বন্ধ রয়েছে।

পিডিবির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শহীদুল ইসলাম মৃধা বলেন, আজকে (গতকাল বুধবার) সন্ধ্যা ৭টায় ১৫৮ মেগাওয়াট লোডশেডিং ছিল। সন্ধ্যা ৭টায় লোডশেডিং ছিল ৫৩ মেগাওয়াট। আজকে দুপুর ১১টায় চট্টগ্রামে জাতীয় গ্রিড থেকে সরবরাহ ছিল ১১১৩ মেগাওয়াট। ২টায় সরবরাহ কমে যায়। তখন জাতীয় গ্রিড থেকে বরাদ্দ দেয়া হয় ৯০০ মেগাওয়াট। তখন কিছুটা লোডশেডিং ছিল। রাত সাড়ে ৯টায় চট্টগ্রামে সরবরাহ ১৫৮৯ মেগাওয়াট ছিল বলে জানান তিনি।

গতকাল চট্টগ্রামে দিনের বেলায় বিশেষ করে দুপুর ২টা থেকে লোডশেডিংয়ের মাত্রা সীমাহীন বেড়ে যায়। এই লোডশেডিংয়ের মাত্রা বিকালেও ছিল। সন্ধ্যায়ও নগরীর বেশি কিছু এলাকায় লোডশেডিং ছিল।

বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রাথমিক জ্বালানির খুব সামান্য অংশ হলো গ্যাস। চট্টগ্রামের বিদ্যুৎ কেন্দ্র, সার কারখানাসহ সকল শিল্পকারখানায় এবং আবাসিকের গ্যাসটা আসে এলএনজি থেকে। এছাড়াও তরল জ্বালানি (ফার্নেস অয়েল ও ডিজেল) এবং কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে চট্টগ্রাম ও কঙবাজারের মাতারবাড়িতে। কঙবাজার মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৬০০ মেগাওয়াটের দুটি ইউনিট বন্ধ রয়েছে কয়লা সংকটের কারণে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅবশেষে ফুটপাতের ওপর গড়ে ওঠা দোকানটি উচ্ছেদ
পরবর্তী নিবন্ধনানির কোলে ঠাঁই হলো তিন মাসের শিশু কাফির