চট্টগ্রামে সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীসহ ২৪৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা

সিএনজি চালকের গায়ে গুলি

জে. জাহেদ, নিজস্ব প্রতিবেদক | সোমবার , ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ at ১:৪৫ অপরাহ্ণ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর সরকার পতন হলে উৎসুক জনতার আনন্দ মিছিলে শামিল হতে গিয়ে চট্টগ্রামের মো. আনোয়ার হোসেন (৪১) নামের এক সিএনজিচালক গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলসহ ২৪৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এতে আরও অজ্ঞাতনামা আসামি রাখা হয়েছে ২০০ থেকে ৩০০ জন।

গত ৫ আগস্ট বিকেল সাড়ে ৩টার সময় নগরীর ডবলমুরিং মডেল থানাধীন মনছুরাবাদ পুলিশ লাইনের সামনে পাকা রাস্তার উপর এ ঘটনা ঘটে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

রোববার (১ সেপ্টেম্বর) রাতে সিএমপির ডবলমুরিং মডেল থানায় ভুক্তভোগী চালক নিজেই বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে আদালতে মামলাটি প্রেরণ করার কথা নিশ্চিত করেন ডবলমুরিং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুল কাদের পাটোয়ারী। মামলাটি তদন্ত করবেন সংশ্লিষ্ট থানার এসআই মো. ইমাম হোসেন। যার থানা মামলা নম্বর-০১/১৬৮।

মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন, চট্টগ্রাম ১০ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন বাচ্চু, সাবেক চসিক মেয়র মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছিন উদ্দিন, সাবেক মেয়র মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরী, যুবলীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর, চসিকের সাবেক কমিশনার আব্দুস সবুর লিটন ও নাজমুল হক ডিউকসহ নগরীর বিভিন্ন এলাকার আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও অঙ্গসংগঠনের ২৪৯ জন ব্যক্তি।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট সরকার পতন হলে উৎসুক জনতার আনন্দ মিছিলে যোগ দেন সিএনজিচালক আনোয়ার হোসেন। মিছিলটি নগরীর ঈদগাঁ হতে দেওয়ানহাট যাওয়ার সময় বিকেল সাড়ে ৩টা সময় ডবলমুরিং থানার মনছুরাবাদ পুলিশ লাইনের সামনে পাকা রাস্তার উপর পৌঁছান।

এ সময় এজাহারে লিখিত প্রথম সারির আসামীদের নির্দেশে হত্যাযজ্ঞ চালাতে অবৈধ অস্ত্র নিয়ে আনন্দ মিছিলে নির্বিচারে গুলি বর্ষণ করার কথা জানান।

এতে বাদি আনোয়ার হোসেনের ডান হাতের বাহুর সামনে দিয়ে গুলি প্রবেশ করে পিছন দিক দিয়ে বের হয়ে রক্তাক্ত জখম হয়। এ সময় অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়। পরে আহতরা সকলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন।

এজাহারে আরও জানান, কোটা সংস্কারের জন্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার পদত্যাগে বাধ্য হয়েছে। গত ১৮ জুলাই থেকে কোটা সংস্কার আন্দোলনে গতি সঞ্চার হয়। ছাত্র-জনতার এই আন্দোলনকে দমানোর জন্য তৎকালিন সরকার দমন পীড়ন শুরু করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসিডিএর নতুন চেয়ারম্যান ফটিকছড়ির নুরুল করিম
পরবর্তী নিবন্ধজামায়াতে ইসলামীর কর্মী সমর্থকদের আল্লাহ ও রাসুল এর নির্দেশিত পথে চলতে হবে