চট্টগ্রামে সাংবাদিকতা পেশার অগ্রযাত্রী

মুহাম্মদ শামসুল হক | বুধবার , ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১ at ৬:২৯ পূর্বাহ্ণ

অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ : চট্টগ্রামের সাংবাদিকতা জগতের অবিচ্ছেদ্য অংশ অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ ১৯২৪ সালের ২০ ডিসেম্বর (মতান্তরে ৬ জুলাই ১৯২২) রাউজানের সুলতানপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। কর্মজীবনে শুরুতে নাজিরহাট কলেজে অধ্যাপনা করেন। তিনি দৈনিক আজাদীর প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এর সঙ্গে যুক্ত হন এবং ১৯৬২ সাল থেকে সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে পেশার মান-মর্যাদা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নিরলস কাজ করে গেছেন প্রায় ৪ যুগ ধরে। সাংবাদিকতায় অবদানের জন্য তিনি ১৯৮৫ সালে সাহিত্যিক মাহবুব উল আলম স্বর্ণপদক এবং ১৯৯০ সালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব কর্তৃক গুণীজন সংবর্ধনা পান। অধ্যাপক খালেদ একাধারে রাজনীতিবিদও। ১৯৭০ সালে তিনি রাউজান-হাটহাজারী থেকে গণপরিষদ সদস্য এবং ৭৩ সালে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সদস্যও ছিলেন। জনাব খালেদ ১৯৭৫ সালে বাকশাল চট্টগ্রাম উত্তর জেলার গভর্ণর মনোনীত হন। তাঁর বলিষ্ঠ ব্যক্তিত্ব ও যোগ্য সম্পাদনায় আজাদী এ অঞ্চলের সবচেয়ে জনপ্রিয় সংবাদপত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। অধ্যাপক খালেদ স্বাধীনতা পুরস্কার, সাহিত্যিক মাহবুব-উল-আলম স্বর্ণপদক, ইউনেসকো পুরস্কার ও প্রেসক্লাব থেকে কৃতী সাংবাদিক সংবর্ধনা লাভ করেন। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থ : একটি। অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ ২০০৩ সালে ২১ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।
হাবিবুর রহমান খান : পটিয়া উপজেলার বড়লিয়া ইউনিয়নের (সাবেক কাশিয়াইশ ইউনিয়ন) ওকন্যারা গ্রামের অধিবাসী হাবিবুর রহমান খান সাংবাদিকতা পেশার বিকাশ ও মানোন্নয়নে বিশেষ অবদান রেখেছেন। পাকিস্তান আমলে প্রায় এক যুগ এবং স্বাধীনতা পরবর্তী ১৯৮৬ সালের জুনের তৃতীয় সপ্তাহ নাগাদ আমৃত্যু সাংবাদিকতা পেশায় নিয়োজিত ছিলেন তিনি। জনাব হাবিবুর রহমান দৈনিক আজাদীর সূচনালগ্নে বার্তা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন সময় আজান, ইস্টার্ণ এক্সামিনার ও দৈনিক নয়াবাংলা পত্রিকায় সুনামের সাথে গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করেন। ১৯৮২ সালে তিনি দৈনিক সেবক বের করেন এবং মৃত্যুর আগের দিন পর্যন্ত অসুস্থ শরীরে সম্পাদকীয় টেবিলে শুয়ে শুয়ে সহকর্মীদের দিক নির্দেশনা দেন। জনাব খান চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের প্রথম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন (৬২-৬৪)।
সায়ফুল আলম : সাহিত্যিক মাহবুব উল আলমের জেষ্ঠ্য পুত্র সায়ফুল আলম ১৯২৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি পড়ালেখা অবস্থায় পিতার সাহচর্যে থেকে দৈনিক জমানা পত্রিকার মাধ্যমে সাংবাদিকতা জীবনে দীক্ষালাভ করেন। তাঁর সাংবাদিকতা জীবনের সিংহভাগ কেটেছে দৈনিক পাকিস্তান, দৈনিক বাংলা (স্বাধীনতা পরবর্তীতে) ও সাপ্তাহিক বিচিত্রায় একনিষ্ঠভাবে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে। তিনি ৭২-৭৩ এবং ৭৫-৭৮ সালে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ছিলেন। ১৯৯২ সালে সৎ, সদালাপী, নিষ্ঠাবান ও ধীরশক্তি সম্পন্ন এই কৃতি সাংবাদিক মৃত্যুবরণ করেন।
মইনুল আহসান সিদ্দিকী : গ্রামের বাড়ি মিরসরাই উপজেলার বৃন্দাবন গ্রামে। জন্ম ১৯৩০ সালে। ৫০ এর দশকে সাপ্তাহিক সৈনিক এর চট্টগ্রাম প্রতিনিধি হিসেবে তাঁর সাংবাদিকতা শুরু। পরবর্তী সময়ে পাকিস্তান অবজারভার, দৈনিক মিল্লাত, করাচির দৈনিক ইভনিং টাইমস্‌ ও টাইমস্‌ অফ করাচি পত্রিকার চট্টগ্রাম সংবাদদাতার দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বিভিন্ন সময় দিগন্ত, দৈনিক বুনিয়াদ, মাসিক কর্ণফুলী নামে পত্রিকা বের করেন। মইনুল আহসান সিদ্দিকী ইংরেজি দৈনিক ইউনিটির চীফ রিপোর্টার এবং কমার্শিয়াল টাইমস এর সম্পাদক ছিলেন।
বিএ আজাদ ইসলামাবাদী : এদেশে সাংবাদিকতা জগতের অন্যতম পথ প্রদর্শক মাওলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদীর পুত্র বিএ আজাদ ইসলামাবাদী পিতার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে সাংবাদিকতা পেশায় মনোনিবেশ করেন। ৬০ এর দশকের শুরুতে তিনি দৈনিক আজাদী পত্রিকায় সহ-সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন। সত্তর দশকের শুরুতে বের করেন সাপ্তাহিক সমাজ। জনাব আজাদ চট্টগ্রাম স্মরণী গ্রন্থের প্রণেতা। তিনি চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ১৯৭৫-৭৯ সাধারণ সম্পাদক ও ১৯৭৯-৮৫ সালে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বিএ আজাদ জন্মগ্রহণ করেন ১৯৪০ সালের ১ এপ্রিল এবং মৃত্যুবরণ করেন ৯৪ সালের ১৪ জুন।
কবির আহমদ ইজ্জত নগরী : বাঁশখালী উপজেলার ইজ্জত নগরী গ্রামের অধিবাসী কবির আহমদ সাংবাদিকতা পেশাকে উদ্দেশ্য করে ১৯৩৩-৩৪ সালে কয়েকজন সহযোগী মিলে মডার্ণ প্রিন্টিং প্রেস গড়ে তোলেন। তিনি সাপ্তাহিক সত্য বার্তার বার্তা সম্পাদক (৪০-৫০), দৈনিক আজান (৪৯-৫৬) এবং দৈনিক আমান পত্রিকার সম্পাদক (৫৭) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে দৈনিক আজাদী বের হলে সেখানে যোগ দেন কবির আহমদ। এক পর্যায়ে তিনি পেশা ছেড়ে গ্রামে গিয়ে অবসরে কাটান শেষ জীবন। কবির আহমদ ইজ্জত নগরী ১৯০০ সালে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৭৩ সালের ১৪ জানুয়ারি মারা যান।
সৈয়দ মুরতজা আলী: ১৯৬৯-৭০ সালে করাচিতে বার্তা সংস্থা পিটিআইতে যোগ দিয়ে সাংবাদিকতা শুরু। এ সময় করাচির ডন পত্রিকায়ও কাজ করেন তিনি। ইস্টার্ণ নিউজ এজেন্সিতেও রিপোর্টার ছিলেন তিনি। ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ অবজারভারে যোগ দিয়ে চট্টগ্রাম অফিসের ব্যুরো প্রধানের দায়িত্ব নিযে আসেন সৈয়দ মুরতজা আলী এবং এখানেই সাংবাদিকতা জীবন শেষ করেন। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থ চারটি। ২০০২ সালে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন তাঁকে কৃতী সাংবাদিক সংবর্ধনা দেয়। তিনি ১৯৪৯ সালের ১৩ জুলাই জন্মগ্রহণ করেন।
কাজী কবির উদ্দিন : ১৯০৪ সালের ১৮ জুলাই সীতাকুন্ড উপজেলার সলিমপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি সাপ্তাহিক সত্যবার্তার সম্পাদক (১৯৩৭-৫০), দৈনিক আজানের যুগ্ম সম্পাদক (কবির আহমদ ইজ্জত নগরীর সঙ্গে) এবং চট্টগ্রাম সংবাদ এর সম্পাদক ছিলেন। ডন, মর্নিং নিউজ এবং পাকিস্তান অবজারভারসহ বিভিন্ন পত্রিকায় তার অনেক লেখা প্রকাশিত হয়।
ইউসুফ চৌধুরী: স্বাধীনতা পরবর্তী চট্টগ্রামের সংবাদপত্র জগতের অন্যতম কৃতী ব্যক্তি দৈনিক পূর্বকোণের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ ইউসুফ চৌধুরী। মাঠ পর্যায়ের একজন পুস্তক ও সংবাদপত্র এজেন্ট কিভাবে একটি মানসম্পন্ন পত্রিকা বের করার স্বপ্ন দেখেন এবং তা বাস্তবে রূপ দেন তার দৃষ্টান্ত রেখেছেন তিনি। ১৯৮৬ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি বের হওয়া পত্রিকাটি জনপ্রিয়তার দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছে। ইউসুফ চৌধুরী সম্পাদক বা প্রকাশক হিসেবে নিজেকে না জড়ালেও পুর্বকোণ গ্রুপের চেয়ারম্যান হিসেবে পত্রিকার মানোন্নয়ন ও প্রচারের কুশীলব হিসেবে নিরন্তর কাজ করে গেছেন। ২০০৬ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
মঈনুল আলম : জন্ম ১৯৩৭ সালের ১৫ই আগস্ট। চট্টগ্রাম শুধু নয় সমগ্র দেশের সাংবাদিকতা জগতে একটি বিশিষ্ট স্থান করে নিয়েছেন মঈনুল আলম। তিনি একাধারে শিল্পীও। মঈনুল আলমের সাংবাদিকতায় শুরু পঞ্চাশের দশকে পিতার পত্রিকা জমানায় কাজ করার মধ্য দিয়ে। এরপর তিনি ইউনিটি ও ইস্টার্ণ এক্সামিনার পত্রিকায় সহসম্পাদক-কাম রিপোর্টার হিসেবে কাজ করেন। দৈনিক ইত্তেফাকের সূচনা লগ্ন থেকে তিনি এর সঙ্গে যুক্ত হন এবং ৯০ সাল পর্যন্ত পত্রিকাটির ব্যুরো প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি দৈনিক জমানার সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেন। তিনি ১৯৮২ সালে বাংলাদেশ প্রেস কমিশনের সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। মঈনুল আলম ২টি গ্রন্থের প্রণেতা। শেষ জীবন তিনি কাটান কানাডায় এবং সেখান থেকেও নিয়মিত কলাম লিখতেন। তিনি ২০১৮ সালের ১৮ জুন কানাডায় মৃত্যুবরণ করেন।
শরীফ রাজা : কাস্টমস এর লোভনীয় চাকরি ছেড়ে সাংবাদিকতায় আসেন চট্টগ্রামের সাংবাদিকতা জগতের অন্যতম পরিচিত ব্যক্তিত্ব শরীফ রাজা। ৬০ এর দশকের শুরুতে দৈনিক আজাদীতে যোগ দেন। পরে সহকারী সম্পাদক হন। সাংবাদিকতার পাশাপাশি তিনি নিয়মিত কলাম লিখতেন। তাঁর লেখা কলাম ‘দেশ দেশান্তর’ সুধী সমাজে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়। ১৯৯০ সালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক ইউনিয়নের সংবর্ধনা, ১৯৯৪ সালে উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর মরণোত্তর সংবর্ধনা এবং ১৯৯৯ সালে মোহাম্মদ আবদুল খালেক স্মৃতি ফাউন্ডেশনের স্বর্ণপদক লাভ করেন। প্রকাশিত গ্রন্থ তিনটি। তাঁর জন্ম ১৯৩৫ সালের ১ নভেম্বর মধ্যম হালিশহরে, মৃত্যু ১৯৯৩ সালের ১৩ জুলাই।
আবুল কাসেম সন্দ্বীপ : সহ-সম্পাদক হিসেবে দৈনিক আজাদীতে কাজ করেন ১৯৬৮-৭০ সালে। তিনি ১৯৭১ এর মার্চে কালুরঘাটে অবস্থিত স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী বেতার কেন্দ্রের অন্যতম সংগঠক ও নীতিনির্ধারক ছিলেন। কণ্ঠ সৈনিক হিসেবে বঙ্গবন্ধু স্বর্ণপদক (১৯৭৫) এবং মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক সম্মাননা (মরণোত্তর ১৯৯৯; বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট) লাভ করেন। তাঁর জন্ম ১৯৪৪ সালের ১লা এপ্রিল সন্দ্বীপ উপজেলার সারিকাইত গ্রামে। মৃত্যু- ১০ ডিসেম্বর ১৯৯৫।
নুর সাঈদ চৌধুরী : দ্য ডেইলি লাইফ, দৈনিক দেশের কথা, বাংলাদেশ টাইমস, বাংলার বাণী ও বাংলাদেশ অবজারভারের বিভিন্ন পদে কাজ করেছেন। তিনি চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও বিএফইউজের সহ-সভাপতি ছিলেন। তাঁর জন্ম ১৯৩৬ সালে, মৃত্যু ১০ আগস্ট ২০০১।
এটিএএম মোদাব্বের : পটিয়া উপজেলার আশিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণকারী এটিএএম মোদাব্বের ১৯৬৯ সাল থেকে সাংবাদিকতা পেশায় জড়িত হন। তিনি দৈনিক আজান, দৈনিক স্বাধীনতা, দৈনিক দেশ, দৈনিক দিনকাল ও পূর্বকোণ পত্রিকায় সহ-সম্পাদক, বার্তা সম্পাদক, শিফট ইনচার্জ, সিটি এডিটর ইত্যাদি পদে দায়িত্ব পালন করেন। একজন দক্ষ ও পেশার প্রতি নিষ্ঠাবান সাংবাদিক হিসেবে সুনাম ছিল তাঁর। ৮৯ সালে ৩০ নভেম্বর পূর্বকোণ অফিসে কর্তব্যরত অবস্থায় তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।
ওবায়দুল হক : ৬০ এর দশকের শুরুতে রিপোর্টার হিসেবে দৈনিক আজাদীতে যোগ দেয়ার মাধ্যমে হাটহাজারী থানার অধিবাসী ওবায়দুল হকের সাংবাদিকতা পেশা শুরু। প্রথম দিকে তিনি আজাদীর ফটোগ্রাফির কাজও করতেন। পরবর্তীতে তিনি আজাদীর চীফ রিপোর্টার হন। সাংবাদিক হিসেবে তিনি জার্মান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফর সঙ্গী হিসেবে মরক্কো সফর করেন। তিনি ১৯৭২ সালে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি এবং ১৯৯৩-৯৪ সালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি ছিলেন। ২০০১ সালে তিনি চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন কর্তৃক কৃতী সাংবাদিক হিসেবে সংবর্ধিত হন। একজন গণসঙ্গীত শিল্পী ও নাট্যাভিনেতা হিসেবেও ভূমিকা রাখেন তিনি। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থ দুটি। ওবায়দুল হক ২০১৫ সালের ১৯ জুলাই মারা যান।
সাধন কুমার ধর : কর্মজীবনের শুরুতে অধ্যাপনা করেছেন। ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রিয় চেয়ারম্যান ছিলেন (১৯৫৮-৮৩) ৩ দফায়। চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি আজাদীতে বার্তা সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন ১৯৬১ সালে। সাংবাদিকতা পেশায় সেই থেকে অর্থ বিলাস মোহ ত্যাগ করে লেগে থেকে বার্তা সম্পাদক হিসেবে অবসরে যান আজাদী থেকে। তিনি সেকান্দর হোসেন সাংবাদিক স্মৃতি পুরস্কার লাভ করেন।
সাধন কুমার ধর ১৯২৪ সালের ৮ আগস্ট রাউজানের ডাবুয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন এবং ২০০৫ সালে মারা যান। (চলবে)
লেখক : জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক, ইতিহাসবিষয়ক গবেষণাকর্মী,

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রধানমন্ত্রী নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে যুগান্তকারী কাজ সাধন করে চলেছেন
পরবর্তী নিবন্ধব্যবসায়ী-ভ্যাট কর্মকর্তা সৌহার্র্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক হয়রানি কমাবে