সংগঠনের নেতাকর্মীদের উজ্জ্বীবিত করতে চট্টগ্রামে সাংগঠনিক সফরে এসেছেন বিএনপির অঙ্গসংগঠন স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতিসহ নেতাকর্মীরা। তারা পর্যায়ক্রমে নগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করছেন। একইসঙ্গে আন্দোলন করতে গিয়ে আটক হয়ে কারাগারে ছিলেন এমন নেতাকর্মীদের সংবর্ধনা দিচ্ছেন। এর মধ্য দিয়ে সংগঠনের নেতাকর্মীদের চাঙা করা হচ্ছে বলে নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের দায়িত্বশীল নেতারা আজাদীকে জানিয়েছেন।
এদিকে প্রথমদিন গতকাল নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে কারানির্যাতিত নেতাকর্মীদের ‘সংবর্ধনা ও মতবিনিময় সভা’র আয়োজন করা হয় নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয় মাঠে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী। চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় সহ–সভাপতি ফখরুল ইসলাম রবিন।
এ সময় এস এম জিলানী বলেন, রাজনৈতিকভাবে আওয়ামী লীগ আজ দেউলিয়া হয়ে গেছে। পত্রিকা খুললেই দেখা যায় তাদের দুর্নীতি, ব্যাংক লুট, টাকা পাচার, যুবলীগের টেন্ডারবাজি, জমিদখল, ছাত্রলীগের হল দখল ও ধর্ষণ, এই হলো আওয়ামী লীগের রাজনীতি। আর বিএনপি করছে দেশ ও জনগণের রাজনীতি। তাই নেতাকর্মীদের আরও বেশি সংঘটিত ও শাণিত করতে হবে। এই আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আমরা আগামী দিনের আন্দোলনে যতি রাজপথে রুখে দাঁড়াই তাহলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে, জনগণ মুক্তি পাবে।
ফখরুল ইসলাম রবিন বলেন, যত টালবাহানাই করুক না কেন, এই সরকারের পতন অনিবার্য। আওয়ামী লীগের সংগঠন বলে কিছু নেই। আওয়ামী লীগ নামক একটা বস্তু আছে, যেখানে কিছু দুর্নীতিবাজ লোকজন আছে, যাদের কাজ হচ্ছে বাংলাদেশের জনগণের টাকা মেরে বিদেশে পাচার করা, দুর্নীতি করা, খুন করা, গুম করা, মামলা দেয়া।
এইচ এম রাশেদ খান বলেন, আজকে আমাদের বেঁচে থাকার অধিকার, সাংবিধানিক অধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার, মানবিক অধিকার এবং সংবাদপত্রের অধিকারসহ কোনো অধিকারই মানুষ পাচ্ছে না। সব অধিকারই ভূলুণ্ঠিত। আমাদের আন্দোলনের একটাই কারণ সরকারকে বিতাড়িত করে দেশের জনগণকে মুক্ত করে মানুষের সব অধিকার আবার ফিরিয়ে দেয়া।
নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলুর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ–সভাপতি ফখরুল ইসলাম রবিন, আরিফ হাওলাদার, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, যুগ্ম সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিক, সহ–সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ আলম, সাহিত্য ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক হাফিজুর রহমান হাফিজ, নগরের তাফাজ্জল হোসেন, আসাদুজ্জামান দিদার, এডভোকেট সাইদুল ইসলাম, হারুন আল রশীদ, এন আই চৌধুরী মাসুম, হারুনুর রশিদ, জিয়াউর রহমান জিয়া, আলী মর্তুজা খান, জমির উদ্দিন নাহিদ, এম আবু বক্কর রাজু, গোলাম সরোয়ার, আকতার হোসেন, সাজ্জাদ হোসেন, এম এ হানিফ, দিদার হোসেন, শাহাদাত হোসেন সোহাগ, জাকির হোসেন, এমদাদুল হোসেন স্বপন, মোখলেছুর রহমান, আব্দুল মান্নান।