চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৪১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যুবরণ করেছেন ৭ জন। আক্রান্তের দিক দিয়ে চট্টগ্রামে এটাই সর্বোচ্চ। এর আগে গত ১১ এপ্রিল চট্টগ্রামে সর্বোচ্চ আক্রান্ত হয়েছিল ৫২৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ২ হাজার ৬০৩টি নমুনা পরীক্ষা করে নতুন ভাবে ৫৪১ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৪ হাজার ৮৬০ জন।
গতকাল সোমবার সকালে সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রকাশিত চট্টগ্রামের ৮টি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ২৯৭টি নমুনা পরীক্ষা করে ১২১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেসে (বিআইটিআইডি) ৭৫৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে শনাক্ত হয় ৭৯ জন। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ৪৩৮টি নমুনা পরীক্ষা করে ২৮ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস পাওয়া গেছে। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে ২৮৯টি নমুনা পরীক্ষা করে ৯৫ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ৩২১টি নমুনা পরীক্ষা করে ১০৩ জন, শেভরন ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরিতে ৪৩২টি নমুনা পরীক্ষা করে ৮৮ জন, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ৫১টি নমুনা পরীক্ষা করে ২৩ জন করোনা শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে (আরটিআরএল) ১৬টি নমুনা পরীক্ষা করে ৪ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছে। অন্যদিকে কঙবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের কোনো নমুনা পরীক্ষা করা হয়নি বলে জানা গেছে।
এই ব্যাপারে চট্টগ্রামের ভারপ্রাপ্ত জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ আসিফ খান জানান, চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৬০৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৪১ জন। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে নগরীতে ৪৫২ জন এবং উপজেলায় ৮৯ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে হাটহাজারীতে সর্বোচ্চ ২৫ জন, আনোয়ারা, রাউজান ও ফটিকছড়িতে ১৪ জন করে, বোয়ালখালীতে ৮ জন, রাঙ্গুনিয়ায় ৫ জন, সীতাকুণ্ড ও লোহাগাড়ায় ৩ জন করে এবং মীরসরাই, বাঁশখালী ও চন্দনাইশে ১ জন করে রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ৪৪ হাজার ৮৬০ জন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৩৫ হাজার ৯৮৩ জন ও গ্রামের ৮ হাজার ৮৭৭ জন। গতকাল করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে ৭ জনের মৃত্যু হয়। মৃতের সংখ্যা বেড়ে এখন ৪৩০ জন। এতে শহরের বাসিন্দা ৩১৫ জন ও গ্রামের ১১৫ জন। সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন নতুন ৬৭ জন। মোট আরোগ্যলাভকারীর সংখ্যা ৩৪ হাজার ৮৩০ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন ৪ হাজার ৭৪০ জন ও বাসায় থেকে চিকিৎসায় সুস্থ হন ৩০ হাজার ৯০ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন বা আইসোলেশনে নতুন যুক্ত হন ৩০ জন ও ছাড়পত্র নেন ১৭ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১ হাজার ৩৪৪ জন।