প্রতিষ্ঠানের মালিক ও শ্রমিকের মধ্যে একটি সুন্দর ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক থাকতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল বুধবার সকালে নগরীর নাসিরাবাদে নব-নির্মিত শিল্প সম্পর্ক শিক্ষায়তন ভবন উদ্বোধন ও বিভিন্ন জেলার শিল্প সম্পর্ক শিক্ষায়তন ভবন ও মহিলা কর্মজীবী হোস্টেলসহ ৮ ভবনের ভার্চুয়াল উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মালিকদের সবসময় মনে রাখতে হবে, শ্রমিকরা শ্রম দিয়েই মালিকের কারখানা চালু রেখে অর্থ উপার্জনের পথ করে দেয়। আবার সেই সাথে শ্রমিকদেরও মনে রাখতে হবে, এই কারখানাগুলো আছে বলেই তারা কাজ করে খেতে পারছেন, তাদের পরিবার চালাতে পারছেন বা তারা নিজেরা আর্থিকভাবে কিছু উপার্জন করতে পারছেন। কারখানাগুলো যদি ঠিকমত না চলে তাহলে নিজেদেরই ক্ষতি হবে। যে কারখানা আপনার রুটি রুজির ব্যবস্থা করে সেই কারখানার প্রতি যত্নবান হতে হবে। বিশ্ব এখন প্রতিযোগিতামূলক। এই প্রতিযোগিতাময় বিশ্বে শিল্প কলকারখানার উৎপাদন ও রপ্তানি সঠিকভাবে চলতে হলে কারখানাগুলো যথাযথভাবে পরিচালনার ব্যবস্থা নিতে হবে। অনেক সময় কিছু কিছু শ্রমিক নেতা বা কোনো কোনো মহল বাইরে থেকে উসকানি দিয়ে কলকারখানায় অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টি করে। অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টি হলে রপ্তানির পাশাপাশি কাজের পরিবেশও নষ্ট হবে। তখন বেকারত্বের অভিশাপ নিয়ে ঘুরতে হবে। সেই কথাটা মনে রেখে শ্রমিকদের দায়িত্ববান
ভূমিকা পালন করতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, শ্রমিকদের অসুবিধা কি বা তাদের জীবন-জীবিকা সুন্দরভাবে চলছে কি না তা মালিকদের দেখতে হবে। শ্রমিকরা তাদের শ্রমের ন্যায্য মূল্য যেন পায় তা মালিক পক্ষকে দেখতে হবে। একইসাথে কারখানাটা সুন্দরভাবে যেন চলে, উৎপাদন যেন বাড়ে, সেই বিষয়েও শ্রমিকদের আন্তরিক হতে হবে।
নাসিরাবাদে নব-নির্মিত শিল্প সম্পর্ক শিক্ষায়তন ভবন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের পরিচালক এসএম এনামুল হক। এছাড়া প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আবু রায়হান দোলন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন শিল্প সম্পর্ক শিক্ষায়তন চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক মো. আলমগীর কুমকুম। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মো. লুৎফর রহমান, বাংলাদেশ-কোরিয়া কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ ইঞ্জিনিয়ার নওরীন সুলতানা, বিজিএমইএর সহ-সভাপতি রকিবুল আলম চৌধুরী, বিকেএমইএর সাবেক পরিচালক শওকত ওসমান, শুলকবহর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মোরশেদ আলম ও জাতীয় মহিলা শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক শ্রম বিষয়ক সম্পাদক রোখসানা পারভীন।
