ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো কমপ্লেক্সে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গতকাল বিমান চলাচলে বিপর্যয় ঘটেছে। ঘটনার প্রেক্ষিতে ঢাকা বিমানবন্দরের এয়ারফিল্ড প্রায় ৬ ঘণ্টা বন্ধ থাকায় ফ্লাইট চলাচলে বিপর্যয় হয়। ঢাকায় অবতরণ করতে না পেরে গতকাল শনিবার বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ৮টি ফ্লাইট চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে। এদিকে ঢাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চট্টগ্রামেও ফ্লাইট সিডিউল এলোমেলো হয়ে যায়। ফলে চট্টগ্রাম থেকে মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়া একাধিক ফ্লাইটের সিডিউল বিপর্যয় ঘটেছে। এতে করে শত শত যাত্রী এবং তাদের স্বজনেরা শাহ আমানত বিমানবন্দরে দুর্ভোগে পড়েন। প্রায় ৬ ঘণ্টা পর ঢাকা বিমানবন্দর ফ্লাইট ওঠানামা শুরু হলে ক্রমান্বয়ে চট্টগ্রামে আটকে পড়া ফ্লাইটগুলো যাত্রা করে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে বেশ রাত হয়ে যায় বলে সূত্র জানিয়েছে।
শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল জানান, ঢাকা বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের কারণে এয়ারফিল্ড সাময়িকভাবে বন্ধ থাকায় মোট ৮টি ফ্লাইট চট্টগ্রামে অবতরণ করেছে। এর মধ্যে দুটি ফ্লাইট চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার পথে যাত্রা করলেও নামতে না পেরে ফেরত আসে। অপর ৬টি ফ্লাইট আন্তর্জাতিক। এর মধ্যে ইউএস–বাংলা এয়ারলাইন্সের দুটি এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের দুটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট রয়েছে। এসব ফ্লাইটে পাইলট এবং কেবিন ক্রুসহ মোট ১ হাজার ২৬৪ জন যাত্রী ছিল।
ঢাকার অগ্নিকাণ্ডের কারণে চট্টগ্রাম থেকে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক ও ঢাকাগামী ফ্লাইটের শিডিউল রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। যেসব ফ্লাইট ঢাকায় অবতরণ করতে না পেরে চট্টগ্রামে এসে আটকা পড়েছে, সেসব ফ্লাইটের কোনো কোনোটি চট্টগ্রাম থেকে যাত্রী নিয়ে দুবাই শারজাহসহ মধ্যপ্রাচ্যে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিকাল ৪টার পর এসব ফ্লাইট চলাচলও বন্ধ ছিল। ফলে কয়েকশ যাত্রী এবং তাদের স্বজনেরা ভোগান্তিতে পড়েন। সন্ধ্যা ৭টার ফ্লাইটের রিপোর্ট করতে বিকাল ৪টার আগে বিমানবন্দরে পৌঁছা যাত্রীদের বাইরে অপেক্ষা করতে হয়েছে। তীব্র গরমের মাঝে অনেকে অসুস্থ বোধ করেছেন। ঢাকায় নামতে না পেরে ফিরে আসা আটটি বিমানের কয়েকশ যাত্রী ভিতরে অবস্থান করায় বিদেশগামী যাত্রীদের ভিতরে ঢোকানোর মতো অবস্থা ছিল না। সবকিছু মিলে ঢাকার অগ্নিকাণ্ডের ধাক্কা লেগেছে চট্টগ্রামেও।
প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল বলেন, রাত ৯টায় ঢাকা এয়ারপোর্টে বিমান চলাচল স্বাভাবিক হলে চট্টগ্রামে আটকে পড়া ফ্লাইটগুলো ক্রমান্বয়ে চলে যায়। শাহ আমানত বিমানবন্দরের সব কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানান তিনি।