বন্দর নগরীতে করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন একজন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। সংক্রমণ হার ০ দশমিক ১৯ শতাংশ। এ সময় শহর ও গ্রামে কোনো রোগির মৃত্যু হয়নি। জেলার করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন কার্যালয়ের আজকের রিপোর্ট থেকে এ সব তথ্য জানা যায়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি ও নগরীর আট ল্যাবে গতকাল চট্টগ্রামের ৫১২ জনের নমুনায় নতুন ১ জন আক্রান্ত শনাক্ত হন। আক্রান্ত ব্যক্তি শহরের। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা এখন ১ লক্ষ ২৬ হাজার ৬০৫ জন। সংক্রমিতদের মধ্যে ৯২ হাজার ৭৬ জন শহরের ও ৩৪ হাজার ৫২৯ জন গ্রামের। গতকাল করোনায় শহর ও গ্রামে করোনায় কারো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৬২ জনই রয়েছে। এতে শহরের ৭৩৪ ও গ্রামের ৬২৮ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, গতকাল সবচেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে নগরীর বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে। এখানে ২১৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ১ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। এ ছাড়া, সরকারি ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে ১১২, বেসরকারি ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ৪৭, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ২৩, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল ল্যাবে ২৭, এপিক হেলথ কেয়ার ল্যাবে ৩৯, ল্যাব এইডে ১, এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ল্যাবে ৩৪ এবং এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাবে ১০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। আট ল্যাবে পরীক্ষিত ২৯৩ নমুনার সবগুলোরই নেগেটিভ রেজাল্ট আসে।
এদিন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ও শাহ আমানত বিমানবন্দর ল্যাবে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। নমুনা সংগ্রহের কোনো কেন্দ্রে একজনের এন্টিজেন টেস্টও হয়নি। চট্টগ্রামের কোনো নমুনাও কক্সবাজারে মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে সংক্রমণ হার পাওয়া যায়, শেভরনে ০ দশমিক ৪৫ শতাংশ এবং বিআইটিআইডি, ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল, এপিক হেলথ কেয়ার ল্যাব এইড ৬০, এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল, এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাবে ০ শতাংশ।