গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৭২ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণের হার ছিল ৯ দশমিক ৬৫ শতাংশ। এ নিয়ে চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫৪ হাজার ছাড়িয়েছে। এদিকে টানা দুদিন করোনায় কোনো রোগীর মৃত্যু না হলেও গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন একজন। তিনি উপজেলার বাসিন্দা। এ নিয়ে চট্টগ্রামে মোট মৃতের সংখ্যা এখন ৬২৭ জন।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতার সনদ দেওয়া হয় ৪২৪ জনকে। জেলায় মোট আরোগ্য লাভকারীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪২ হাজার ৬৫২ জনে। এদের ৫ হাজার ৯২২ জন হাসপাতালে ও ৩৬ হাজার ৭৩০ জন বাসায় চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন। কোয়ারেন্টাইনে গতকাল যুক্ত হন ৩৫ জন ও ছাড়পত্র নেন ৪৫ জন। বর্তমানে ১ হাজার ৯২ জন কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন।
সিভিল সার্জন অফিস থেকে পাওয়া তথ্য মতে, গত ২৪ ঘণ্টায় সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে নগরীর সাতটি ল্যাবে চট্টগ্রামের ৭৪৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে নতুন শনাক্ত ৭২ জনের মধ্যে নগরীর বাসিন্দা ৩৮ জন এবং নয় উপজেলার ৩৪ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে সর্বোচ্চ পটিয়ায় ২০ জন, সীতাকুণ্ডে ৫ জন, মীরসরাই ও চন্দনাইশে ২ জন করে এবং সন্দ্বীপ, হাটহাজারী, রাঙ্গুনিয়া, বোয়ালখালী ও বাঁশখালীতে ১ জন করে রয়েছেন। এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ৫৪ হাজার ৩২ জন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৪২ হাজার ৯১৪ জন ও জেলার বিভিন্ন উপজেলার ১১ হাজার ১১৯ জন।
সিভিল সার্জন অফিস জানায়, চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত মোট ৪ লাখ ৭১ হাজার ৪৩০টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত পাঁচটি এলাকায় সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছেন। এলাকাগুলো হচ্ছে হালিশহর, কোতোয়ালী, পাঁচলাইশ, চান্দগাঁও ও হাটহাজারী। এর মধ্যে হালিশহরে ৫৫ জন, কোতোয়ালীতে ৪৫ জন, চান্দগাঁওয়ে ৩৩ জন, পাঁচলাইশে ৩৫ জন ও হাটহাজারীতে ৩৮ জন মারা গেছেন। চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি গতকাল আজাদীকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।