বিরোধ হলে শুধু মামলা নয়, লিগ্যাল এইড অফিসে আপসও হয়। জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের কার্যক্রম এখন শুধু আইনি সহায়তা সেবার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বিরোধ মীমাংসার অন্যতম কেন্দ্রস্থলও বটে। ফলশ্রুতিতে বিচারপ্রার্থী জণগণ স্বল্প সময়ে বিনা খরচে আইনি প্রতিকার লাভে দ্বারস্থ হচ্ছে জেলা লিগ্যাল এইড কার্যালয়ে। স্বল্প সময়ে প্রতিকার পাচ্ছেন অসহায় বিচারপ্রার্থী জণগণ। এই কার্যক্রমকে আরো অধিকতর ফলপ্রসূ ও সেবাবান্ধব করার প্রয়াসে জেলা পরিষদের অর্থায়নে দেশের প্রথম স্মার্ট মেডিয়েশন কার্যক্রমের সূচনা করল চট্টগ্রাম জেলা লিগ্যাল এইড কার্যালয়।
গতকাল সোমবার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন চট্টগ্রামের সম্মেলন কক্ষে জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির ৩য় মাসিক সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন জেলা লিগ্যাল এইড কমিটি চট্টগ্রামের চেয়ারম্যান ও জেলা জজ আজিজ আহমদ ভূঞা। জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার (সিনিয়র সহকারী জজ) মুহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল এবং মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরিফুল ইসলামের যৌথ সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল–১ এর বিচারক মুরাদ–এ মাওলা সোহেল, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, জেলা পুলিশ সুপার এস এম সফিউল্লাহ, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট চট্টগ্রাম মো. রবিউল আলম, জেলা পরিষদ চট্টগ্রামের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাব্বির ইকবাল, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আইন কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন, জেলা সিভিল সার্জন প্রতিনিধি ডা. মো. নওশাদ খান, সিনিয়র জেল সুপার মো. মঞ্জুরুল ইসলাম, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আশরাফ হোসেন চৌধুরী রাজ্জাক এবং বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা, সরকারি কৌসুলি, পিপি, লিগ্যাল এইড প্যানেল আইনজীবী, জেলা লিগ্যাল এইড কমিটি চট্টগ্রামের সদস্য, এনজিও প্রতিনিধিরা।
সভায় অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক পদে পদোন্নতি লাভ করায় মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়কে এবং স্মার্ট মেডিয়েশন রুম স্থাপনে আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য জেলা পরিষদকে সংবর্ধনা ও সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
এছাড়াও জেলা লিগ্যাল এইড অফিসে তিন মাসের সফল ইন্টার্নশীপের সমাপ্তিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী সুরাইয়া তারানুম সুসানকে সনদপত্র ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।