চট্টগ্রামে মৃত্যুশূন্য ১৮ তম দিনে করোনায় আক্রান্ত নতুন ৬৩ জন শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণ হার ৩ দশমিক ৯৯ শতাংশ। এ সময়ে ৬১ জন সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে জানা যায়, চট্টগ্রাম নগরীর আটটি ল্যাব ও কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে গত বৃহস্পতিবার ১ হাজার ৫৭৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে নতুন সংক্রমিত ৬৩ জনের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৫৬ জন এবং চার উপজেলার ৭ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে হাটহাজারীতে ৪ জন এবং সীতাকুণ্ড, ফটিকছড়ি ও বাঁশখালীতে ১ জন করে রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ৩৩ হাজার ৭৯০ জন। সংক্রমিতদের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ২৬ হাজার ৪১৭ জন ও গ্রামের ৭ হাজার ৩৭৩ জন। খবর বাসসের।
বৃহস্পতিবার করোনায় কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। ফলে মৃতের সংখ্যা ৩৬৯ জনই রয়েছে। এতে শহরের বাসিন্দা ২৬৮ জন ও গ্রামের ১০১ জন। সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন নতুন ৬১ জন। এতে মোট আরোগ্য লাভকারীর সংখ্যা ৩১ হাজার ২৯৭ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৪ হাজার ৩১২ জন এবং ঘরে থেকে ২৬ হাজার ৯৮৫ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন বা আইসোলেশনে নতুন ৮ জন যুক্ত হলেও কেউ ছাড়পত্র নেননি। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৯৭১ জন।
উল্লেখ্য, গতকালসহ একটানা ১৮ দিন চট্টগ্রামে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। করোনার জটিলতায় সর্বশেষ এক রোগীর মৃত্যু হয় ২৪ জানুয়ারি। অন্যদিকে, গত দশ দিন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা একশ’র কম ছিল। পহেলা ফেব্রুয়ারি জীবাণুবাহক ১০৮ জন চিহ্নিত হয়। এর আগে ১২ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত একটানা ১৯ দিন করোনা ভাইরাসের বাহক সংখ্যা একশ’র নিচে ছিল। ১২ জানুয়ারি ১২৭ জন ভাইরাসবাহক শনাক্ত হয়। সেদিন ২ রোগীর মৃত্যু হয়। সংক্রমণের হার ছিল ১০ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। করোনাকালের সবচেয়ে কম রেকর্ডটিও এ মাসের ৬ ফেব্রুয়ারি। এদিন ১ হাজার ২২৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২১ জনের দেহে ভাইরাসের উপস্থিতি মেলে। সংক্রমণ হার ছিল ১ দশমিক ৭১ শতাংশ।