শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মুছে ফেলার উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধু হত্যা পরবর্তী জিয়া-মোস্তাকের নেতৃত্বে সামরিক বাহিনী, সিভিল সার্ভিস ও অন্যান্য স্থানে বেছে বেছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করা হয়েছে। এসব ইতিহাস নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে। চট্টগ্রামে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত জাদুঘর জিয়ার নামে কিছুতেই হতে পারে না। এটির নাম সংশোধন করে ‘মহান মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি’ জাদুঘর নামকরণের জন্য সরকার ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে। গতকাল শুক্রবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ মহানগর ইউনিট কমান্ড আয়োজিত করোনাকালীন স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে পালস অক্সিমিটার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। করোনাভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রম ভণ্ডুল করতে একটি পক্ষ নিজেদের মালিকানাধীন গণমাধ্যমে সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। তিনি আরো বলেন, সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করে সংবাদ প্রকাশ করতে কোন আপত্তি নেই। কিন্তু কিছু মিডিয়া ব্যবসায়িক স্বার্থে পরিকল্পিতভাবে সরকার বিরোধী ভিত্তিহীন সংবাদ পরিবেশন করছে। কিন্তু অনেক সাংবাদিক তাদের ব্যবসায় ও ব্যক্তিগত সম্পদ অর্জন করতে লাগাতার সরকার বিরোধী সংবাদ প্রকাশ করেছে, যা নজরে রয়েছে। বাংলাদেশকে যারা জঙ্গি রাষ্ট্র বানাতে চায় মুক্তিযোদ্ধাদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। জিয়াউর রহমানকে খলনায়ক উল্লেখ করে শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারা বেঁচে না থাকলে আমাদের নতুন প্রজন্ম মহান মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানবে না। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। অনুষ্ঠানে ইকোর সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও দৈনিক পূর্বদেশ-এর সৌজন্যে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে ২’শ অক্সিমিটার বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে যতদিন দেশ থাকবে ততদিন স্বাধীন বাংলাদেশের লাল সবুজের পতাকা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি জাগরিত হয়ে থাকবে। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ মহানগর ইউনিট কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদের সভাপতিত্বে চবি উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. ওমর ফারুক রাসেল ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মো. সরওয়ার আলম চৌধুরী মনির সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার শহীদুল হক চৌধুরী সৈয়দ, আবদুর রাজ্জাক, দক্ষিণ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীমা হারুন লুবনা ও চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া, চবি প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূইঁয়া। বক্তব্য দেন, মো. সরওয়ার আলম চৌধুরী মনি, সাহেদ মুরাদ সাকু ও কাজী মুহাম্মদ রাজীশ ইমরান প্রমুখ।