চট্টগ্রামে মধ্য মার্চে শেষ হচ্ছে প্রথম ডোজ

করোনার টিকা ।। শীঘ্রই বন্ধ হচ্ছে নগরের রেজিস্ট্রেশন

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ৪ মার্চ, ২০২১ at ৫:৩৭ পূর্বাহ্ণ

চলতি মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময়ে চট্টগ্রামে করোনার টিকার প্রথম ডোজের কার্যক্রম সম্পন্ন করার চিন্তা করছে স্বাস্থ্য বিভাগ। প্রথম দফায় বরাদ্দ পাওয়া টিকার সংখ্যা ও টিকাগ্রহীতার সংখ্যা বিবেচনায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা।
এ তথ্য নিশ্চিত করে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি আজাদীকে বলেন- স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাথে আলোচনায় চট্টগ্রামে প্রথম ডোজ প্রদানের সময়সীমার বিষয়ে কথা হয়েছে। আমরা ১৫ মার্চ পর্যন্ত প্রথম ডোজ চালু রাখার প্রস্তাব দিয়েছি। যদিও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এ সময়সীমা চূড়ান্ত করবে, তবে আমরা মার্চের মাঝামাঝি সময় ধরেই কার্যক্রম এগিয়ে নিচ্ছি। এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ থেকে টিকার দ্বিতীয় ডোজের কার্যক্রম শুরুর কথা রয়েছে বলে জানান সিভিল সার্জন। এদিকে, চট্টগ্রামে বরাদ্দ পাওয়া টিকার ডোজের বিপরীতে অনলাইনে নিবন্ধনের সংখ্যাও এখন প্রায় কাছাকাছি। প্রাপ্ত ডোজের তুলনায় নিবন্ধনের সংখ্যা বেশি হলে, টিকাদান নিয়ে জটিলতায় পড়তে হতে পারে। যার কারণে প্রাপ্ত ডোজের সমান সংখ্যক নিবন্ধন হলেই অনলাইন নিবন্ধন বন্ধ করে দেয়ার কথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা।
এক্ষেত্রে চট্টগ্রাম মহানগরের নিবন্ধন কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যেতে পারে আগে। কারণ, মহানগরের বাসিন্দাদের জন্য প্রথম দফায় ১ লাখ ৫৪ হাজার ৯০৫ ডোজ টিকা বরাদ্দ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। দ্বিতীয় দফায় পাওয়া যায় আরো ৯০ হাজার ডোজ। সবমিলিয়ে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৯০৫ ডোজ টিকা বরাদ্দ পেয়েছে চট্টগ্রাম মহানগর।
তবে টিকা গ্রহণে গতকাল দুপুর পর্যন্ত মহানগরের ২ লাখ ২৬ হাজার ৯৪৫ জন অনলাইনে নিবন্ধন করেছেন। হিসেবে আর ১৫ হাজারের সামান্য বেশি মানুষ মহানগরে টিকা গ্রহণে নিবন্ধনের সুযোগ পাবেন। এ সংখ্যক নিবন্ধন হয়ে গেলে কয়েকদিনের মধ্যেই মহানগরের নিবন্ধন কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী- মহানগরসহ চট্টগ্রাম জেলার জন্য সবমিলিয়ে ৪ লাখ ৫৬ হাজার ডোজ টিকা বরাদ্দ পাওয়া যায় প্রথম দফায়। পরে আরো ৯০ হাজার ডোজ যোগ হয়েছে। এখন মহানগরসহ জেলায় মোট প্রাপ্ত টিকার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৪৬ হাজার ডোজ। এই টিকা গ্রহণে গতকাল দুপুর পর্যন্ত চট্টগ্রামের মোট ৪ লাখ ১৬ হাজার ৮১৫ জন অনলাইনে নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন।
হিসেবে আর লক্ষাধিক মানুষ টিকার জন্য নিবন্ধন করার সুযোগ পাবেন চট্টগ্রামে। এরপরই প্রথম ডোজের নিবন্ধন কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হতে পারে জানিয়ে সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, আগে মহানগরের নিবন্ধন কার্যক্রম বন্ধ হতে পারে। পরে উপজেলায়।
উল্লেখ্য, গতকাল পর্যন্ত মহানগরসহ চট্টগ্রাম জেলায় মোট ৩ লাখ ৩ হাজার ৮০৫ জন মানুষ করোনার টিকা নিয়েছেন। প্রথম ডোজ হিসেবে জেলার মোট ৫ লাখ ৪৬ হাজার মানুষকে এ টিকাদানের লক্ষ্য রয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগের।
এসএমএস ছাড়া টিকা নয় : স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনার প্রেক্ষিতে এখন কেবল অনলাইনে নিবন্ধিত কেন্দ্রেই টিকা নিতে হচ্ছে নিবন্ধনধারীকে। এ বিষয়ে চসিক করোনা ভ্যাকসিন প্রদান কমিটির সদস্য সচিব ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী ও চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, যিনি যে কেন্দ্রের জন্য অনলাইনে নিবন্ধন করেছেন, তিনি সে কেন্দ্রেই টিকা নেবেন। ভিন্ন কোনো কেন্দ্রে টিকা নেয়া যাবে না। আর নিবন্ধনের পর টিকাগ্রহণের তারিখ ও সময়সহ সংশ্লিষ্ট নিবন্ধনকারী তার মোবাইলে একটি এসএমএস পাবেন। ওই এসএমএস-এ উল্ল্লিখিত তারিখে নিবন্ধনকারী টিকা নিতে কেন্দ্রে যাবেন। কেন্দ্রে গিয়ে মোবাইলে আসা এসএমএস দেখিয়ে তিনি টিকা নিতে পারবেন। এসএমএস না আসা পর্যন্ত টিকা নিতে পারবেন না। এসএমএস পাওয়া সাপেক্ষে সকলকে নিবন্ধিত স্ব-স্ব কেন্দ্রে গিয়ে টিকা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছেন এ দুই কর্মকর্তা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচার আসামির মৃত্যুদণ্ড
পরবর্তী নিবন্ধকক্সবাজারে গ্রেপ্তার ৩ পুলিশ সদস্য দুদিনের রিমান্ডে