রাষ্ট্র সংস্কার ও মেরামতের মাধ্যমে নতুন এক বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নে চট্টগ্রামে আয়োজিত হয়েছে ‘বৈষম্যহীন রাষ্ট্রভাবনা’ নাগরিক সংলাপ। গতকাল শনিবার চট্টগ্রামের জিইসিতে এক রেস্টুরেন্টে সমাজ ও রাষ্ট্রচিন্তা কেন্দ্রের (সেন্টার ফর সোশ্যাল এন্ড পলিটিক্যাল থট, সিএসপিটি) উদ্যোগে এই নাগরিক সংলাপের আয়োজন করা হয়েছে।
এতে ছাত্র–শিক্ষক, রাজনীতিবিদ ও বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার প্রতিনিধি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গঠনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যকর ভূমিকায় করণীয়, দেশের অর্থনীতিকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়াসহ জাতীয় প্রতিষ্ঠানসমূহে বিরাজনীতিকরণ করে দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে মতামত ব্যক্ত করা হয়।
এ সময় সিএসপিটির পরিচালক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. এনায়েত উল্যা পাটওয়ারীর সভাপতিত্বে প্যানেল আলোচক হিসেবে ছিলেন চবি অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর ড. মো. সাইফুল ইসলাম, চবি আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিন, চবি মার্কেটিং বিভাগের ড. মো. ফুয়াদ হাসান, চবি লোক প্রশাসন বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. মমতাজ উদ্দিন, প্রাণরসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রেজওয়ানুল হক এবং যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শহীদুল হক। এছাড়াও অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অবসরপ্রাপ্ত প্রফেসর ড. আবুল কালাম আজাদ, লোকপ্রশাসন বিভাগের প্রফেসর ড. আমীর নসরুল্লাহ এবং দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. মোজাম্মেল হক। এছাড়াও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়করা ও শিক্ষার্থীরাও এতে বক্তব্য রাখেন।
এ সময় ড. আবুল কালাম আজাদ বলেন, একটা রাষ্ট্রে বৈষম্য তখনই তৈরি হয় যখন রাষ্ট্রের কার্যালয়ে দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তিরা বৈষম্য তৈরি করে। সরকার নিজেকে নিজের নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা থাকতে হবে। এজন্য সবার আগে সরকারকে ঠিক করতে হবে। রাষ্ট্র ব্যবস্থা এমন করে দাঁড় করতে হবে যাতে সকলে দায়িত্ব নিতে ভয় পায়। সরকারি মন্ত্রীকে দেশের তৈরি যানবাহন এবং রিকশা ভ্যানে যাতায়াত করার মানসিকতা তৈরি করতে হবে। ক্ষমতার দায়িত্ব বন্টন করতে হবে। সকলের মাধ্যমে কাজ করার ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে।