গাজায় ইসরায়েলের বর্বর হামলার প্রতিবাদে চট্টগ্রামে আয়োজিত সংহতি মিছিল ঘুরে দাঁড়াল সহিংসতায়। রাস্তায় স্লোগানের পাশাপাশি চলল ইট-পাটকেল, ভাঙচুর হলো আন্তর্জাতিক ফাস্টফুড চেইন KFC, ব্র্যাক লার্নিং সেন্টার ও ব্যাংকের শাখায়। নগরের অন্তত চারটি থানা এলাকায় একাধিক হামলার ঘটনায় দায়ের হয়েছে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা। গ্রেপ্তার হয়েছেন আটজন।
পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার বিকেলে আন্দরকিল্লা থেকে প্রায় ৫০ জনের একটি মিছিল বের হয়ে চেরাগী পাহাড়ে জড়ো হয়। সেখানেই প্রথম হামলা KFC-তে। লাঠিসোঁটা, পাথর দিয়ে ভাঙচুর করে আতঙ্ক ছড়ানো হয়। সেখান থেকে মিছিল গড়িয়ে যায় কাজির দেউরীতে—হামলা চলে ব্র্যাক ব্যাংক ও শিক্ষাকেন্দ্রেও।
পুলিশের দাবি, এসব হামলা পরিকল্পিত। লক্ষ্য ছিল জনমনে ভীতি, রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় অস্থিরতা এবং বিনিয়োগ সম্মেলনের সময়ে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করা।
এনায়েত বাজার পুলিশ ফাঁড়ির এসআই রবিউল আলমের দায়ের করা মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে কোতোয়ালী থানা পুলিশ। তাঁদের একজন হকার্স মার্কেটের দোকান কর্মচারী। একইসঙ্গে চকবাজারে রেস্তোরাঁ ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছে ১৭ বছরের এক কিশোর। খুলশীতে ধরা হয়েছে আরও চারজন।
পাঁচলাইশের জিইসি মোড়েও হামলা হয়েছে। তবে সেখানকার মামলায় এখনও গ্রেপ্তার হয়নি কেউ। পুলিশের অভিযান চলছে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, “ধর্মীয় আবেগকে পুঁজি করে যারা নাশকতা চালাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”