চট্টগ্রামে বিভিন্ন জলাশয়ে মাছের উৎপাদন বেড়েছে। মিঠা পানির মাছের সাথে সাথে সামুদ্রিক মাছেরও উৎপাদন বেড়েছে। সরকারিভাবে সমুদ্রে মাছ ধরায় বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় উৎপাদের এ সুফল পাওয়া যাচ্ছে। গতকাল শনিবার সকালে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানান চট্টগ্রাম জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফারহানা লাভলী।
তিনি বলেন, ইলিশের প্রজনন মৌসুমে নদীতে জাটকা নিধন বন্ধের ও মা ইলিশ রক্ষার মাধ্যমে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে যে ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে তা সাইজেও বড়। সামুদ্রিক মাছের উৎপাদন বৃদ্ধিতে অন্যতম ভূমিকা ইলিশ মাছের। সরকারিভাবে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে শনিবার রাত থেকে বঙ্গোপসাগরে আবার মৎস্য আহরণ শুরু।
জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে জেলা কার্যালয়ে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। এতে তিনি আরও বলেন, সরকার ইলিশের অভয়াশ্রম সৃষ্টি ও অভয়াশ্রমে জাটকা ধরা বন্ধ করা, প্রজনন মৌসুমে ২২ দিন ইলিশ আহরণ, পরিবহন, বিপণন, মজুদ, ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধকরণ, নভেম্বর থেকে জুন ৮ মাস জাটকা ধরা বন্ধ করা, সমুদ্রে ৬৫ দিন মাছ ধরা বন্ধ করাসহ নানা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে। পাশাপাশি মৎস্যজীবিদের ভিজিএফ খাদ্য সহায়তা প্রদান ও বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
মতবিনিময় সভায় আরও উপস্তিত ছিলেন সাসটেইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্পের উপ প্রকল্প পরিচালক অধীর চন্দ্র দাস, সিনিয়র সহকারী পরিচালক ওয়াহিদুর রহমান মজুমদার, মিজানুর রহমান, সমুদ্র বন্দর কোয়ারেন্টাইন কর্মকর্তা সারহা নাহিন।