চট্টগ্রামে বিআরটিসি বহরে যুক্ত হচ্ছে আরও ৫০টি এসি বাস

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ২০ নভেম্বর, ২০২৪ at ৬:১০ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন (বিআরটিসি) চট্টগ্রাম বাস ডিপো থেকে প্রতিদিন ৬৭টি যাত্রীবাহী বাস বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা গুলোতে চলাচল করছে। চট্টগ্রাম মহানগরীর পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা গুলোতে বিআরটিসির এসি বাসের সীমাহীন চাহিদা রয়েছে বলে জানান বিআরটিসি চট্টগ্রামের ডিপো ম্যানেজার। এসব চাহিদার কথা বিবেচনা করে চট্টগ্রামে বিআরটিসির বহরে যুক্ত হচ্ছে আরও ৫০টির মতো এসি বাস। বিআরটিসি সূত্রে জানা গেছে, রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের জন্য নতুন ৩৪০টি একতলা এসি বাস কেনা হচ্ছে। এরমধ্যে ১৪০টি ঢাকায় চলবে, বাকি ২০০টি ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলা শহরে যাত্রী পরিবহন করবে। দক্ষিণ কোরিয়া থেকে এই বাসগুলো কেনা হচ্ছে।

বিআরটিসি চট্টগ্রাম বাস ডিপোর সূত্রে জানা যায়, আগে চট্টগ্রামে বিআরটিসির একতলা এবং দ্বিতল মিলে ৭৭টি বাস চলতো। বর্তমানে ১০ বাসের যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে ডিপোতে মেরামত অবস্থায় রয়েছে বলে জানা গেছে। এই ৬৭টি যাত্রীবাহী বাস থেকে প্রতিমাসে বিআরটিসির রাজস্ব আয় হয়ে থাকে ১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। এই ব্যাপারে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্পোরেশন (বিআরটিসি) বাস ডিপোর ম্যানেজার (অপারেশন) মো. জুলফিকার আলী আজাদীকে বলেন, নতুন করে যেসব বাস কেনা হচ্ছে তার থেকে চট্টগ্রাম দ্বিতীয় রাজধানী হিসেবে চট্টগ্রামে ৫০টির মতো এসি বাস পাওয়া যেতে পারে। আগে চট্টগ্রামে বিআরটিসির ৭৭টি বাস চলাচল করতো। এখন ৬৭টি চলে। ১০টি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ডিপোতে মেরামতরত অবস্থায় আছে। আমাদের বাসের সীমাহীন চাহিদা রয়েছে। বাস না থাকায় সব রুটে চালাতে পারছি না। তারপরও আমরা চেষ্টা করছি যে সব রুটে চাহিদা বেশি সে সব রুটে চালানোর জন্য। চট্টগ্রাম মহানগরীর মধ্যে আমাদের ৩২টি বাস চলে। এর মধ্যে দ্বিতল বাসের সংখ্যা ১২টি। মহানগরীর ৩২টি বাসের মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে ৬টি, আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২টি, স্মার্ট স্কুল বাস ১২টি, ছাদ খোলা বাস ২টি।

বাস ডিপোর ম্যানেজার (অপারেশন) মো. জুলফিকার আলী বলেন, নগরীর বাইরে চট্টগ্রাম থেকে নতুন ব্রিজ হয়ে পটিয়া রুটে চলে ১০টি বাস, আনোয়ারা রুটে চলে ৪টি বাস। চট্টগ্রাম থেকে জেলা পর্যায়ে চলে ঢাকা রুটে ২টি, চট্টগ্রামকুমিল্লা কোম্পানী রুটে চলে ১টি, চট্টগ্রামরাঙামাটি রুটে চলে ৪টি বাস, চট্টগ্রামখাগড়াছড়ি রুটে চলে ৪টি বাস। চট্টগ্রাম থেকে সিলেট রুটে চলে ২টি, চট্টগ্রাম থেকে সিলেট হয়ে সুনামগঞ্জ রুটে চলে ২টি বাস। এই ৬৭টি বাস থেকে প্রতি মাসে ১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা রাজস্ব আয় হয়।

তিনি আরও বলেন, ৬ মাস আগে রাজস্ব আয়ের পরিমান ১ কোটি ৭৪ লাখ টাকা ছিল। এই কয়েক মাসে বেশ কয়েকটি বাস নষ্ট হয়েছে। সেগুলো মেরামত চলছে। এখন ১ কোটি ৪৭ লাখ টাকার রাজস্ব আয় হচ্ছে। আমরা আগামী কয়েক মাসের মধ্যে রাজস্ব আয়ে আবার আগের অবস্থানে ফিরে যাবো।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা
পরবর্তী নিবন্ধশিশু আয়নী হত্যা মামলার বিচার শুরু