চট্টগ্রামে প্রার্থী প্রায় ৫৫ হাজার

প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা আজ ।। প্রবেশপত্রের রঙিন প্রিন্ট নিয়ে যেতে হবে কেন্দ্রে

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ২২ এপ্রিল, ২০২২ at ৫:১৪ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামসহ দেশের ২২টি জেলায় আজ (২২ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত হচ্ছে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পরীক্ষা। প্রায় ৫৫ হাজার প্রার্থী এ পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে চট্টগ্রামে। পরীক্ষা গ্রহণে এরই মধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করেছে জেলা প্রশাসন ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম জেলার ৫৪ হাজার ৮৯৪ জন (প্রায় ৫৫ হাজার) প্রার্থী সহকারী শিক্ষক পদের জন্য আবেদন করেছেন। ওই আবেদনকারীরাই আজকের (শুক্রবার) নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেবেন। ৬৪টি কেন্দ্রে এ নিয়োগ পরীক্ষা নেয়া হবে। সবকয়টি কেন্দ্রই মহানগরে। পরীক্ষা হবে এক ঘণ্টার। বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এসব তথ্য নিশ্চিত করে পরীক্ষা গ্রহণে সব ধরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান চট্টগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলাম।
এদিকে, নিয়োগ পরীক্ষা ঘিরে ১৯ দফা নির্দেশনা জারি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। যার অধিকাংশই প্রার্থীর প্রবেশপত্রে (এডমিট কার্ডে) উল্লেখ করা আছে। আর এরইমধ্যে ওয়েবসাইট থেকে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করার সুযোগ পেয়েছেন প্রার্থীরা। পরীক্ষা কেন্দ্রে যাওয়ার সময় প্রার্থীদের ডাউনলোড করা প্রবেশপত্রের রঙিন প্রিন্ট কপি সাথে নিয়ে যেতে হবে বলে নির্দেশনায় বলা হয়েছে।
এক পদে ৬৪ প্রার্থী : জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রাম জেলার সরকারি স্কুলগুলোতে সহকারী শিক্ষকের শূন্য পদ সংখ্যা ৮৫০টি। আর এসব পদের বিপরীতে আবেদনকারীর সংখ্যা ৫৪ হাজার ৮৯৪ জন। হিসেবে সহকারী শিক্ষকের প্রতিটি পদের বিপরীতে নিয়োগ যুদ্ধে লড়ছেন ৬৪ জন প্রার্থী! যদিও শূন্য পদের এ তথ্য কয়েক মাস আগের বলে জানিয়েছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলাম। এরপরও প্রতিনিয়ত শিক্ষকরা অবসরোত্তর ছুটিতে যাচ্ছেন জানিয়ে এই কর্মকর্তা বলেন, সে বিবেচনায় শূন্য পদ আরো বাড়তে পারে। তবে কত সংখ্যক পদে নিয়োগ দেয়া হবে তা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত।

উল্লেখ্য, ৩০ হাজারের বেশি সহকারী শিক্ষক নিয়োগে ২০২০ সালে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। ২০২০ সালের ২৫ অক্টোবর অনলাইনে আবেদন শুরু হয়। এ পদে নিয়োগ পেতে সারাদেশে আবেদন করেছেন ১৩ লাখ ৯ হাজার ৪৬১ প্রার্থী। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে এই নিয়োগ পরীক্ষা আটকে ছিল। প্রায় দেড় বছর পর এই নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। যদিও প্রকাশিত ওই বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে পরবর্তীতে প্রায় ৪৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রণালয়। যা প্রাথমিকের ইতিহাসে এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ১১ বছরের পলাতক আসামি রাউজানের তৈয়ব গ্রেপ্তার
পরবর্তী নিবন্ধকন্টেনারবাহী ট্রেনের ইঞ্জিনে গাঁজা ৪ লোকোমাস্টার বরখাস্ত