চট্টগ্রামে ন্যাশনাল হাইড্রোগ্রাফিক কমিটির ১৫তম সভা

| সোমবার , ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ at ১১:২৬ পূর্বাহ্ণ

পারস্পরিক সহযোগিতা ও জ্ঞান বিনিময়ের মাধ্যমে ন্যাশনাল হাইড্রোগ্রাফিক কমিটি হাইড্রোগ্রাফি ও সমুদ্রবিজ্ঞানভিত্তিক উদ্ভাবনের মাধ্যমে সমুদ্র অর্থনীতিকে আরও সমৃদ্ধ করবে। গতকাল রোববার সমুদ্রসম্পদের টেকসই ব্যবহার এবং সামুদ্রিক কার্যক্রম নিরাপদ, সুশৃঙ্খল ও কার্যকর করার লক্ষ্যে ন্যাশনাল হাইড্রোগ্রাফিক কমিটির ১৫তম সভায় সভাপতির বক্তব্যে সহকারী নৌবাহিনী প্রধান (অপারেশন্স) রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসা এ আশাবাদ জানান। সব মেরিটাইম সংস্থার মধ্যে পারস্পরিক সমন্বয় ও সহযোগিতা জোরদার করার প্রয়াসে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় বানৌজা ঈসা খানে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

হাইড্রোগ্রাফিক কার্যক্রমের সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর, সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং মেরিটাইম সংস্থার প্রতিনিধিরা সভায় অংশ নেন।

দুই দিনের এই আয়োজনে অংশগ্রহণকারীরা বাংলাদেশ নৌবাহিনীর হাইড্রোগ্রাফিক অ্যান্ড ওশানোগ্রাফিক সেন্টারের কার্যক্রম পরিদর্শন ও নৌবাহিনীর সার্ভে জাহাজের মাধ্যমে সমুদ্রে হাইড্রোগ্রাফিক কার্যক্রম সরজমিনে প্রত্যক্ষ করবেন। সূত্র জানায়, হাইড্রোগ্রাফিক জরিপ সমুদ্রগামী জাহাজের নিরাপদ নেভিগেশন ও সামুদ্রিক অর্থনীতির বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আন্তর্জাতিক মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের (আইএমও) সেইফটি অব লাইফ এট সী (ঝঙখঅঝ) কনভেনশন অনুযায়ী উপকূলীয় দেশগুলোর জন্য যথাযথ হাইড্রোগ্রাফিক সেবা ও নটিক্যাল চার্টিং নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ১৯৮৩ সালে বাংলাদেশ নৌবাহিনী হাইড্রোগ্রাফিক সার্ভিস চালু করে।

২০০১ সালে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক হাইড্রোগ্রাফিক সংস্থার (ওঐঙ) সদস্যপদ অর্জন করে এবং একই বছরে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ন্যাশনাল হাইড্রোগ্রাফিক কমিটির কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে প্রায় ২৫টি মেরিটাইম ও সহযোগী সংস্থা এ কমিটিতে প্রতিনিধিত্ব করছে। সভায় সমুদ্র জরিপ, অফশোর স্থাপনা, দূষণ নিয়ন্ত্রণ, মৎস্য সম্পদ ব্যবস্থাপনা, বন্দর উন্নয়ন, জলবায়ুজনিত ঝুঁকি মোকাবিলা, তথ্য বিনিময় ও প্রশিক্ষণ জোরদারসহ গঝউও এবং গঝচ প্রণয়নের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহাটহাজারীর চৌধুরীহাট অভিযান ১০ মামলায় অর্ধলক্ষ টাকা জরিমানা
পরবর্তী নিবন্ধনির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন এনসিপি নেত্রী ঝুমা