বিদায়ী প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, বিচারপ্রার্থীরা আদালতে আসেন, অথচ তাদের জন্য কোনো বিশ্রামাগার নেই। বিষয়টি আমার শপথের দিন চা চক্রে প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করি। সাথে সাথে তিনি বিষয়টি আমলে নেন এবং ব্যক্তিগত সহকারীকে নোট নিতে বলেন। ধারাবাহিকতায় সারা দেশের আদালতপাড়ার জন্য ন্যায়কুঞ্জ নামের বিশ্রামাগার নির্মাণের জন্য বরাদ্দ প্রদান করেন। তিনি আরও বলেন, এ পর্যন্ত ১০টি বিশ্রামাগার নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। বাকিগুলোও দ্রুত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন হবে।
গতকাল সোমবার চট্টগ্রামের নবনির্মিত ন্যায়কুঞ্জ উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি উপস্থিত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ন্যায়কুঞ্জ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা ও দায়রা জজ আজিজ আহমেদ ভুঁইয়া, মহানগর দায়রা জজ জেবুন্নেছা, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রবিউল আলম, জেলা পিপি শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, মহানগর পিপি আব্দুর রশিদ, জেলা আইনজীবী সমিতির সেক্রেটারি এএসএম বজলুর রশিদ মিন্টু ও চট্টগ্রাম বিচার বিভাগের অন্যান্য বিচারক ও আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
গত জুনের শুরুতে প্রধান বিচারপতির নির্দেশে সারা দেশের ন্যায় চট্টগ্রামেও ন্যায়কুঞ্জ নির্মাণের কাজ শুরু হয়।