ঢাকায় আদালত এলাকা থেকে পুলিশের চোখে স্প্রে মেরে দুই জঙ্গিকে ছিনতাইয়ের পর চট্টগ্রামেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (জনসংযোগ) পংকজ দত্ত বলেন, সবসময় আদালত এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা বলবৎ থাকে। তবে ঢাকার ঘটনার পর চট্টগ্রাম আদালত এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
তিনি বলেন, যেদিন আদালতে কারাগারে আটক জঙ্গিদের আনা-নেওয়া করা হয়, সেদিনগুলোতে অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন থাকে। তবে এখন থেকে সে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও বাড়ানো হবে।
সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলায় হাজিরা দিতে গতকাল কাশিমপুর কারাগার থেকে ঢাকার আদালতে নিয়ে আসা হয় প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া দুই আসামি মইনুল হাসান শামীম ও আবু সিদ্দিক সোহেলকে। হাজিরা শেষে আসামিদের হাজতখানায় নেওয়ার পথে পুলিশের মুখে রাসায়নিক স্প্রে করে দুজনকে ছিনিয়ে নিয়ে মোটরসাইকেলে চলে যায় তাদের সহযোগীরা।
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের এক কর্মকর্তা জানান, চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে বর্তমানে ৪২ জন জঙ্গি রয়েছে। তাদের অন্য বন্দিদের থেকে সবসময় আলাদা করে রেখে নজরদারিতে রাখা হয়। তবে বর্তমান সময়ের ঘটনায় আরও বেশি নজরদারিতে রাখা হচ্ছে।
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে নিরাপত্তা ব্যবস্থার পাশাপাশি নজরদারি বাড়ানোর কথা জানিয়েছেন জেল সুপার গিয়াস উদ্দিন।