চট্টগ্রামে নতুন করে গতকাল আরো ৬৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া ডেঙ্গুতে রিফা আকতার (৩০) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। গত ২৯ সেপ্টেম্বর তাকে ভর্তি করা হলে ওইদিনই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। ডেঙ্গু শক সিন্ড্রোমে আক্রান্ত হয়ে বান্দরবানের বাসিন্দা রিফা আকতার মারা যান বলে চিকিৎসকরা মৃত্যু সনদে উল্লেখ করেন। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছেন ১৫ জনের। যার মধ্যে সেপ্টেম্বরেই মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। অপরদিকে গতকাল পর্যন্ত এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৫০৫ জন। এরমধ্যে নগরীতে ৯০১ জন এবং উপজেলাতে ৬০৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া চলতি সেপ্টেম্বরে গতকাল পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৯০৭ জন।
গতকাল সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৬৬ জন ডেঙ্গু্ আক্রান্তদের মধ্যে বর্তমানে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ২৩ জন, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ১৬ জন, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ১২ জন, চট্টগ্রাম সিএমইএচে ৩ জন এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৪ জন এবং নগরীর বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরো ৮ জন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফুলের টব ও ডাবের খোসা, গাড়ির টায়ারসহ বিভিন্ন পরিত্যক্ত বস্তুতে জমে থাকা পানি ডেঙ্গুবাহী এডিস মশা প্রজননে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। এতে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীও বাড়ছে। তাই সবাইকে বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার রাখাসহ কোথাও যাতে তিনদিনের বেশি পানি না জমে সেদিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। এছাড়া রাতে ছাড়াও দিনেরও বেলায়ও মশারি টানাতে হবে।
উল্লেখ্য, গত বছর নগর ও বিভিন্ন উপজেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সরকারি–বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে মোট ভর্তি হয়েছিল ১৪ হাজার ৮৭ জন। এরমধ্যে মারা যায় ১০৭ জন। এছাড়া ২০২২ সালে মোট আক্রান্ত ৫ হাজার ৪৪৫ জনের মধ্যে মারা যান ৪১ জনের, ২০২১ সালে আক্রান্ত হয় ২৭১ জন এবং মারা যায় ৫ রোগী।