বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষ্যে ডায়াবেটিস সম্পর্কে সচেতনতা, প্রতিরোধ ও ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করেছে এভারকেয়ার হাসপাতাল চট্টগ্রাম। এ বছর বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস থিম ‘ব্রেকিং ব্যারিয়ারস, ব্রিজিং গ্যাপস’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা তাদের মতামত প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এভারকেয়ার হাসপাতাল চট্টগ্রামের এন্ডোক্রিনোলজি ও ডায়াবেটিস বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. শায়েলা কবির; এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামের এন্ডোক্রিনোলজি ও ডায়াবেটিস বিভাগের অ্যাটেনডিং কনসালটেন্ট ডা. এমরান উর রশিদ চৌধুরী; এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামের নেফ্রোলজি বিভাগের অ্যাটেনডিং কনসালটেন্ট ডা. টিপু কুমার দাস এবং চিফ ডায়েটিশিয়ান মিস আসফি মোহাম্মদ ।
অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্যে এভারকেয়ার হাসপাতাল চট্টগ্রাম–এর চিফ অপারেটিং অফিসার সামির সিং বলেন, “বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস–এর এ বছরের থিম ‘ব্রেকিং ব্যারিয়ারস, ব্রিজিং গ্যাপস’কে কেন্দ্র করে এই আলোচনা সভার মাধ্যমে ডায়াবেটিসের নিয়ে জনমনে পর্যাপ্ত সচেতনতা তৈরি, বিশেষ করে সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের এই রোগ নিয়ে শিক্ষিত করে তুলতে আমাদের বিশেষজ্ঞদের মতামত ব্যাপক ভূমিকা রাখবে বলে আমি আশা করছি।”
হাটহাজারী ডায়াবেটিস সমিতি : ‘ডায়াবেটিসের ঝুঁকি জানুন, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন’–প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সারা দেশের মতো হাটহাজারীতেও বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উদযাপন করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার এ উপলক্ষে হাটহাজারী ডায়াবেটিস সমিতি শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভার আয়োজন করে। হাটহাজারী ডায়াবেটিস হাসপাতাল চত্বরে হাসপাতালের ম্যানেজার ফরহাদ বাবুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন হাটহাজারী ডায়াবেটিস সমিতির আজীবন সদস্য সিজেকেএস সাঁতার কমিটির সাধারণ সম্পাদক (সাবেক) আসলাম মোর্শেদ। এতে বক্তব্য রাখেন ডায়াবেটিস হাসপাতালের চিকিৎসক কে.এম. ডাঃ আতাউল গনি পারভেজ, ডাঃ টিপু সুলতান। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে সমিতির আজীবন সদস্য উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নিয়াজ মোর্শেদ, হাটহাজারী প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক খোরশেদ আলম শিমুল, সহ–সভাপতি মো. হোসেন, সমাজ সেবক জাহাঙ্গীর আলম ও হাসপাতালের সকল কর্মকর্তা ও সমিতির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলোয়াত করেন মাওলানা শহিদুল্লাহ।
সভায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের প্রায় এক কোটি লোক ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত। প্রতি দশজনের মধ্যে একজন ডায়াবেটিস রোগী রয়েছে। আলোচনা সভায় পূর্বে সকলের অংশগ্রহণে একটি র্যালি হাসপাতাল চত্বর থেকে শুরু হয়ে পৌরসভার কয়েকটি সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় হাসপাতাল চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।