চট্টগ্রামে বিভিন্ন নির্বাচনে ব্যবহৃত ৫১০ সেট ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) জেলার ছয়টি উপজেলায় সরকারি প্রতিষ্ঠান ও স্কুল–কলেজে পড়ে আছে। ওয়্যারহাউস না থাকায় ইভিএমগুলো নষ্ট হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে বলে মাঠ পর্যায়ে খবর নিয়ে জানা গেছে। জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় বিভিন্ন নির্বাচনে ব্যবহৃত ইভিএমগুলো উপজেলার বিভিন্ন স্কুল–কলেজ ও অফিসার্স ক্লাবসহ সংশ্লিষ্ট নির্বাচন অফিসে রাখা হয়েছে। এগুলো যথাযথ সংরক্ষণের জন্য ওয়্যারহাউস না থাকায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে রাখতে গিয়ে নষ্ট হওয়ার ঝুঁকিতে পড়ার বিষয়টি বিভিন্ন সময়ে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে জানান আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তারা।
চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয়ে খবর নিয়ে জানা গেছে, জেলার ৬টি উপজেলায় ৫১০ সেট ইভিএম উপজেলা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয়ে, উপজেলা অফিসার্স ক্লাব এবং বিভিন্ন স্কুল–কলেজে রাখা হয়েছে। এরমধ্যে মীরসরাই উপজেলায় রয়েছে ১৭০ সেট, রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় রয়েছে ১৩০ সেট, ফটিকছড়ি উপজেলায় রয়েছে ৩০ সেট, চন্দনাইশে রয়েছে ২০ সেট, পটিয়া উপজেলায় রয়েছে ২০ সেট এবং আনোয়ারা উপজেলায় রয়েছে ১৪০ সেট। ইসি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিটি ইভিএমের ক্রয় মূল্য আড়াই লক্ষ টাকা। সেই হিসাবে ৫১০টি মেশিনের মূল্য দাঁড়ায় ১২ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা।
নির্বাচন কমিশন থেকে জানা গেছে, চট্টগ্রাম–ঢাকাসহ দেশের ১০ অঞ্চলে ইভিএমগুলোর সুরক্ষা নিশ্চিতে ওয়্যারহাউস তৈরির পরিকল্পনা করছে সংস্থাটি। এজন্য মাঠ পর্যায়ে ইভিএম সংরক্ষণে ওয়্যারহাউস তৈরির জন্য জায়গা খোঁজা হচ্ছে। সমপ্রতি ইসির অনুষ্ঠিত মাসিক সমন্বয় সভায় ওয়্যারহাউস নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে ইভিএম প্রকল্প পরিচালক ও সব আঞ্চলিক কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে
নির্দেশনা দেয়া হয়েছে ইসির সচিবালয় থেকে। এই ব্যাপারে সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার চট্টগ্রাম মোহাম্মদ এনামুল হক আজাদীকে বলেন, ইভিএম সংরক্ষণের জন্য ওয়্যারহাউস নির্মাণের প্ল্যান হয়েছে। এজন্য জায়গা খোঁজা হচ্ছে। আমাদের জেলা অফিসে ইভিএম নেই। উপজেলায় রয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন স্কুল–কলেজ ও আমাদের অফিসে রাখা হয়েছে।
উপজেলা পর্যায়ে খবর নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইভিএম সংরক্ষিত আছে এবং কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানের নিচ তলায় স্যাঁতস্যাঁতে অবস্থায় রয়েছে। এতে ইভিএমগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। নির্বাচন কমিশনের প্রশাসনিক ১০টি অঞ্চল তথা চট্টগ্রাম, ঢাকা, ফরিদপুর, খুলনা, বরিশাল, কুমিল্লা, সিলেট, ময়মনসিংহ, রংপুর ও রাজশাহীর মধ্যে ওয়্যারহাউসের নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।