চট্টগ্রামে নদী ও সাগরে ডাকাতি করা সংঘবদ্ধ চক্রের ৮ সদস্য গ্রেপ্তার

| রবিবার , ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ at ৮:১৩ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে অভিযান চালিয়ে সংঘবদ্ধ জলদস্যু চক্রের আট সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে নৌ পুলিশ। শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে এ অভিযান চালানো হয়।

এ সময় তাদের কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র, লুণ্ঠিত মোবাইল ফোন ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দুটি ফিশিং বোট জব্দ করা হয়েছে।

নৌ পুলিশ জানায়, কোতোয়ালী থানার পুরাতন ফিশারিঘাটের ১ নম্বর লোহার ব্রিজসংলগ্ন কর্ণফুলী নদীতে দুটি ফিশিং বোটে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে তাদের আটক করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন—মো. আসিফ উদ্দিন তামিম (২২), মো. ফাহাদ আহম্মদ (২০), তাপস ধর (২৫), পরিমল সাহা (৪৮), মো. নবী (২৮), মো. রাজিব (২৫), মো. হৃদয় (২০) ও বোটের মাঝি হরি চন্দ্র দাস (৪০)। তবে তাদের সহযোগী অন্তত আরও ১০ থেকে ১১ জন নদীতে লাফিয়ে পালিয়ে যায়।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন সহকারী পুলিশ সুপার সাঈদ ইবনে রেজা। তার সঙ্গে ছিলেন এসআই আরিফুল আলম ও এসআই বিকাশ সাহা। এ সময় দুটি বোটের ভেতর থেকে রামদা, লোহার হাতলযুক্ত দা, বল্লম, তলোয়ার, রড, শাবল, হুকসহ বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। পরে হরি চন্দ্র দাসকে নগরের সদরঘাটের একটি হোটেল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে আরও একটি চাইনিজ কুড়াল, ছয়টি অ্যান্ড্রয়েড ফোন, চারটি বাটন সেট মোবাইল ও ছয়টি রকেট প্যারাস্যুট ফ্লেয়ার জব্দ করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা স্বীকার করেছেন, তারা এর আগে সন্দ্বীপ, হাতিয়া, কুমিরা চ্যানেল, পতেঙ্গা ও কর্ণফুলী নদীতে একাধিকবার ফিশিং বোটে ডাকাতি করেছে। তারা অস্ত্র প্রদর্শন করে জেলে ও শ্রমিকদের কাছ থেকে মাছ, জাল, মোবাইল ফোন ও নগদ অর্থ লুটে নিত। আতঙ্ক সৃষ্টি করতে রকেট ফ্লেয়ারও ব্যবহার করত বলে জানিয়েছে পুলিশ।

নৌ পুলিশের চট্টগ্রাম অঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিজয়া সেন বলেন, “এটি একটি সংঘবদ্ধ ডাকাতচক্র। তারা দীর্ঘদিন ধরে সাগর ও নদীতে ডাকাতি চালিয়ে আসছিল। অভিযান চালিয়ে চক্রটির গুরুত্বপূর্ণ সদস্যদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে।”

গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালী থানায় মামলা করা হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসীর ঘরে দুর্ধর্ষ চুরি, স্বর্ণ ও ডলার লুট
পরবর্তী নিবন্ধমাদ্রাসা-ই-রহমানিয়া এতিমখানার সংস্কার কাজ পরিদর্শনে রিহ্যাব নেতৃবৃন্দ