গণহত্যা দিবস পালন ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে দুদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। জেলা প্রশাসন, সিএমপি, জেলা পরিষদসহ সরকারি-বেসরকারি সংস্থার পাশাপাশি নগর আওয়ামী লীগ এবং বিএনপিও কর্মসূচি পালন করবে।
এদিকে স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচিকে ঘিরে আজ নির্দেশনা আসবে সিএমপির। বিষয়টি নিশ্চিত করে সিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার শাহ মো. আবদুর রউফ আজাদীকে বলেন, স্বাধীনতা দিবসে চট্টগ্রামে শহীদ মিনারে সর্বস্তরের জনগণ শ্রদ্ধা জানায়। ভোর ৬টা থেকে সেখানে সাধারণের প্রবেশাধিকার থাকবে। অর্থাৎ রাতে কোনো কর্মসূচি পালন করা যাবে না। এ বিষয়ে বিস্তারিত নির্দেশনা আগামীকাল (আজ) জানিয়ে দেয়া হবে।
চসিকের কর্মসূচি : কর্মসূচির প্রথম দিন আজ ২৫ মার্চ সকাল ১০টায় সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বধ্যভূমি পাহাড়তলী জাকির হোসেন রোডের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। সাড়ে ১০টায় থাকছে টাইগারপাসস্থ নগর ভবনে গণহত্যা দিবস উপলক্ষে বিশেষ মোনাজাত ও আলোচনা সভা হবে।
চসিক পরিচালিত মাদ্রাসা এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসমূহে মিলাদ ও বিশেষ মোনাজাতের পাশাপাশি রাত ৯টায় এক মিনিট নির্ধারিত স্থানসমূহে প্রতীকী ব্ল্যাক-আউট করা হবে। ৯টা ৫ মিনিটে গণহত্যা দিবস ও শহীদদের স্মরণে জাকির হোসেন রোডস্থ পাহাড়তলী বধ্যভূমিতে আলোক প্রজ্জ্বলন করা হবে। দ্বিতীয় দিন আগামীকাল ২৬ মার্চ সূর্যোদয়ের সাথে সাথে কর্পোরেশনের টাইগার পাসস্থ নগর ভবন, আন্দরকিল্লাস্থ আঞ্চলিক কার্যালয় (জোন-৬), ওয়ার্ড অফিস ও কর্পোরেশন আওতাভুক্ত প্রতিষ্ঠানসমূহে জাতীয় পতাকা ও কর্পোরেশনের পতাকা উত্তোলন করা হবে।
একই দিনে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক ও সকাল ৮টায় বাটালি হিল টাইগারপাস নগর ভবনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন মেয়র মোহাম্মদ রেজাউল করিম চৌধুরী।
সকাল ৯টায় অপর্ণাচরণ সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ ক্যাম্পাসে থাকছে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। সকাল সাড়ে ১০টায় নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউটে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং সুবর্ণজয়ন্তীতে দেশের উন্নয়ন’ বিষয়ক আলোচনা সভা (স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ পূর্বক) অনুষ্ঠিত হবে।
একই সময়ে জাতির শান্তি ও অগ্রগতি এবং মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের আত্মার শান্তি কামনায় কর্পোরেশনভুক্ত মসজিদ-মাদ্রাসায় মিলাদ ও বিশেষ মোনাজাত, মন্দির, প্যাগোডা ও গীর্জায় বিশেষ প্রার্থণা (স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ পূর্বক) করা হবে। এই জাতীয় দিবস উপলক্ষে চসিকের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসমূহে ১০ দিনব্যাপী আলোকসজ্জ্বা চলমান ও ফোয়ারা সচল থাকবে। কর্পোরেশনভুক্ত হাসপাতাল সমূহের সকল বহির্বিভাগে ও ওয়ার্ড স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ফ্রি চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকবে।
