চট্টগ্রামে গতকাল ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আবুল হোসাইন (৩৭) নামে এক যুবক মারা গেছেন। তিনি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ১০ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি হন। ১১ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর একিউট রেসপিরেটরি ডিসট্রেস সিন্ড্রোম ও ডেঙ্গু শক সিন্ড্রোমে আবুল হোসাইন মারা যান বলে চিকিৎসকরা মৃত্যু সনদে উল্লেখ করেন। এর আগে নোয়াখালীর সেনবাগের আবুল হোসাইনের ডেঙ্গু পরীক্ষা (এনএসওয়ান) পজিটিভ আসে।
এ নিয়ে চলতি বছর চট্টগ্রামে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ১৩ জন। এরমধ্যে ৮ জনই চলতি সেপ্টেম্বরে মারা গেছেন। অপরদিকে গতকাল সারাদেশে ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের।
গতকাল সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৭২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। এরমধ্যে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ২০ জন, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি হাসপাতালে ১১ জন, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ৪ জন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙে ১২ জন এবং নগরীর বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২৫ জন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চট্টগ্রামে বর্তমানে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। এতে বিভিন্ন জায়গায় স্বচ্ছ পানি জমছে। বিশেষ করে ফুলের টব ও ডাবের খোসা, গাড়ির টায়ারসহ বিভিন্ন পরিত্যক্ত বস্তুতে জমা পানি ডেঙ্গুবাহী এডিস মশা প্রজননে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। এতে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীও বাড়ছে। ডেঙ্গু আক্রান্ত বাড়ার কারণে একইসাথে মৃত্যুও বাড়ছে।
উল্লেখ্য, গত বছর নগর ও বিভিন্ন উপজেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সরকারি–বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে মোট ভর্তি হয়েছিল ১৪ হাজার ৮৭ জন। এরমধ্যে মারা যায় ১০৭ জন। এছাড়া ২০২২ সালে মোট আক্রান্ত ৫ হাজার ৪৪৫ জনের মধ্যে মারা যান ৪১ জনের, ২০২১ সালে আক্রান্ত হয় ২২১ জন এবং মারা যায় ৫ রোগী।