চট্টগ্রামে ট্যানারি বর্জ্য মিশিয়ে মাছ-মুরগির খাদ্য তৈরি

বাকলিয়ায় দুই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

আজাদী অনলাইন | সোমবার , ১৬ অক্টোবর, ২০২৩ at ৫:০৮ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রাম নগরীতে আবারও সন্ধান মিলেছে ট্যানারির বর্জ্য মেশানো মাছ এবং পোল্ট্রি ফিডের কারখানার। মেসার্স আদিত্য ট্রেডার্স ও নূর এন্টারপ্রাইজ নামক কারখানা দুটি দীর্ঘদিন যাবত ট্যানারির বর্জ্য মিশিয়ে মাছ ও মুরগির খাদ্য উৎপাদ করে আসছিল।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও র‍্যাব ৭ অভিযানে এসব কারখানা থেকে উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ করে ক্রোমিয়াম যুক্ত ট্যানারি বর্জ্য।

আজ সোমবার (১৬ অক্টোবর) নগরীর বাকলিয়া থানাধীন বাস্তুহারা এলাকায় এই যৌথ অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় পোল্ট্রি ফিডে ক্রোমিয়াম যুক্ত ট্যানারির বর্জ্য মেশানোর অভিযোগে আদিত্য ট্রেডার্সের মালিক আশু দাশকে ২ লাখ ও মাছের খাবারে ক্রোমিয়াম যুক্ত শ্রিম্প পাউডার মেশানোর অভিযোগে নুর এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. নুর আবছারকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করে ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করা হয়।

অভিযানকালে আদিত্য ট্রেডার্স থেকে ১৫০ বস্তা ক্রোমিয়াম যুক্ত ট্যানারির বর্জ্য এবং নূর এন্টারপ্রাইজ থেকে ৩৩ বস্তা ক্রোমিয়াম যুক্ত শ্রিম্প পাউডার জব্দ করে তা জনসম্মুখে ধ্বংস করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

যৌথভাবে পরিচালিত এ অভিযানে জেলা প্রশাসনের পক্ষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত এবং র‍্যাব ৭ এর হয়ে নেতৃত্ব দেন সিনিয়র এএসপি রায়হান মুরাদ ও সিনিয়র এএসপি মো. শরীফুল আলম।

এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত বলেন, পোল্ট্রি ও ফিস ফিডে ক্রোমিয়াম যুক্ত নিষিদ্ধ পণ্য মিশ্রণের ফলে মাছ এবং মুরগি হয়ে তা মানবদেহে প্রবেশ করছে। ফলে ক্যান্সারসহ নানাবিধ জটিল রোগ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এসব কারখানাগুলোকে একে একে চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে৷ এ সকল অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আমাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপু‌লিশ হেফাজতে দুদক কর্মকর্তার মৃত্যু : চান্দগাঁও থানার ও‌সির বিরু‌দ্ধে মামলা
পরবর্তী নিবন্ধসিআইইউতে অনুষ্ঠিত হলো ‘রোবো রেস ২০২৩’