চট্টগ্রামে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু হচ্ছে আজ

কাউন্সিলরদের অনুপস্থিতিতে তত্ত্বাবধানে থাকছেন সরকারি কর্মকর্তারা

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ at ৪:৪৮ পূর্বাহ্ণ

ছাত্রজনতার আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নিরাপত্তা জনিত কারণে নগরীর ৪১ ওয়ার্ডের প্রায় সব কাউন্সিলর গত দেড় মাস ধরে অফিস করছেন না। অনেকেই চলে গেছেন আত্মগোপনে। কাউন্সিলরদের অনুপস্থিতিতে নগরী ও উপজেলা পর্যায়ে টিসিবি সেপ্টেম্বর মাসের ন্যায্যমূল্যের পণ্য বিক্রি (চাল, মসুর ডাল ও সয়াবিন তেল) কার্যক্রম শুরু হচ্ছে আজ।

টিসিবির চট্টগ্রাম অঞ্চলের অফিস থেকে জানা গেছে, কাউন্সিলরদের অনুপস্থিতিতে এবার ওয়ার্ড পর্যায়ে টিসিবির পণ্য বিক্রি কার্যক্রম তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে রয়েছেন সমাজসেবা কর্মকর্তা, ওয়ার্ড সচিব, থানার একজন এসআই, সেনিটারি ইন্সপেক্টর এবং সিটি কর্পোরেশনের আঞ্চলিক কর্মকর্তারা। এবারও চট্টগ্রামে মোট ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫০ জন টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারীর মাঝে টিসিবির পণ্য দেয়া হচ্ছে। এরমধ্যে চট্টগ্রাম মহানগরীতে ৩ লাখ ৩৫ হাজার ৫০ জন এবং ১৫ উপজেলায় ২ লাখ ফ্যামিলি কার্ডধারী নিম্নআয়ের মানুষ টিসিবির এসব পণ্য পাবেন।

ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) চট্টগ্রাম অঞ্চলের অফিস প্রধান শফিকুল ইসলাম আজাদীকে বলেন, নগরীতে

কাউন্সিলরদের অনুপস্থিতিতে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে সেপ্টেম্বর মাসের টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু হচ্ছে আজ। একজন না থাকলে যেন আর একজন থাকতে পারেন সেজন্য প্রতি ওয়ার্ডে ৫৬ জন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আজ নগরীতে ৪ নম্বর ওয়ার্ড, ১৯ নম্বর ওয়ার্ড, ২০ নম্বর ওয়ার্ড, ২১ নম্বর ওয়ার্ড, ২৩ নম্বর ওয়ার্ড, ২৬ নম্বর ওয়ার্ড, ২৭ নম্বর ওয়ার্ড, ৩০ নম্বর ওয়ার্ড, ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডে ভোক্তাদের মাঝে টিসিবির পণ্য দেয়া হবে।

উপজেলা পর্যায়ে পটিয়া, সীতাকুণ্ড ও হাটহাজারীতে আজ ডিলাররা টিসিবির পণ্য বিক্রি করবেন। পর্যায়ক্রমে নগরীর অন্যান্য ওয়ার্ড ও উপজেলাগুলোতে পণ্য বিক্রি শুরু হবে বলে জানান চট্টগ্রাম অঞ্চলের অফিস প্রধান শফিকুল ইসলাম। এবারও একজন কার্ডধারী পরিবারকে ৫ কেজি চাল, ২ কেজি মসুর ডাল, ২ লিটার সয়াবিন দেয়া হবে। মোট প্যাকেজ ৪৭০ টাকা। তিনি জানান, চট্টগ্রামে নগরী ও জেলায় আগের মতো মোট ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫০ জন টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারীর মাঝে টিসিবির পণ্য পাবে। এরমধ্যে চট্টগ্রাম মহানগরীতে ৩ লাখ ৩৫ হাজার ৫০ জন এবং ১৫ উপজেলায় ২ লাখ ফ্যামিলি কার্ডধারী নিম্নআয়ের মানুষ টিসিবির এসব পণ্য পাবেন।

জানা গেছে, জেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং বরাদ্দের ভিত্তিতে মহানগরীতে ওয়ার্ড কাউন্সিলররা এলাকাভিত্তিক তালিকা তৈরি করে যাদের কার্ড দিয়েছেন শুধুমাত্র তারাই টিসিবির পণ্য পেয়ে থাকেন। উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের তালিকা অনুযায়ী ফ্যামিলি কার্ডধারী পরিবারগুলো উপজেলা পর্যায়ে টিসিবির পণ্য পেয়ে আসছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসালমানসহ বেক্সিমকোর ২৮ জনের বিরুদ্ধে ১৭ মামলা
পরবর্তী নিবন্ধ‘ফোনে আপা আপা বলা’ সেই তানভীর আ. লীগ থেকে বহিষ্কার