চট্টগ্রামে টিসিবির নিত্যপণ্যের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে চাল

কর্মসূচি আজ থেকে, এবার চিনি দেয়া হচ্ছে না নগরে পাবে ৫ লাখ ৩৫ হাজার পরিবার

শুকলাল দাশ | বুধবার , ১৯ জুলাই, ২০২৩ at ৫:৫৮ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামে টিসিবির নিত্যপণ্যের সঙ্গে আজ থেকে যুক্ত হচ্ছে চাল। এতদিন টিসিবি থেকে ভোক্তারা ন্যায্যমূল্যে চিনি, তেল, ডাল ও পেঁয়াজ পেতেন। এবার সরকার চালও যুক্ত করেছে। গরিব ও অসহায় মানুষের কষ্ট লাগবে সরকার টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে অন্যান্য নিত্যপণ্যের সঙ্গে ৫ কেজি করে চাল দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। ঢাকাচট্টগ্রামসহ সারা দেশে এই কর্মসূচির আওতায় মোট ১ কোটি পরিবার টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে ৫ কেজি চাল, ২ লিটার সয়াবিন তেল এবং ২ কেজি মসুর ডাল পাবেন। চিনির সরবরাহ না থাকায় এবার চট্টগ্রামে চিনি দেয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন টিসিবির ডিলাররা। ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য জেলায় এই কর্মসূচি গত রবিবার থেকে শুরু হলেও চট্টগ্রামে চাল বরাদ্দে দেরি হওয়ায় আজ বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে।

টিসিবি চট্টগ্রাম আঞ্চলিক অফিস থেকে জানা গেছে, এবারও নগরীর ৪১ ওয়ার্ডে টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে ৫ লাখ ৩৫ হাজার পরিবার ভর্তুকি মূল্যে মাসব্যাপী চালসহ নিত্যপণ্য সামগ্রী পাবে।

টিসিবি চট্টগ্রাম আঞ্চলিক প্রধান জামাল উদ্দিন আহমেদ আজাদীকে বলেন, এবার টিসিবির পণ্যের সাথে চাল যুক্ত হয়েছে। টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারী একজন ক্রেতা প্রতি কেজি ৩০ টাকা দামে ৫ কেজি চাল, প্রতি লিটার ১০০ টাকা দামে ২ লিটার সয়াবিন তেল এবং প্রতি কেজি ৬০ টাকা দামে ২ কেজি মসুর ডাল পাবেন। চট্টগ্রামে বুধবার থেকে ডিলাররা ওয়ার্ড পর্যায়ে বিতরণ শুরু করবেন। আমরা সোমবার ১০ জন ডিলারকে পণ্য বরাদ্দ দিয়েছি। তারা আমাদের থেকে তেল ও ডাল বরাদ্দ নিয়ে খাদ্য অফিসে চাল বরাদ্দ নেয়ার জন্য গেছেন। অনেকেই বরাদ্দ নিয়ে সরাসরি ওয়ার্ড পর্যায়ে ভোক্তাদের মধ্যে বিতরণের জন্য চলে গেছেন। এবারও ৫ লাখ ৩৫ হাজার ফ্যামিলি কার্ডের পরিবার ভর্তুকি মূল্যে মাসব্যাপী চালসহ নিত্যপণ্য সামগ্রী পাবে।

জানা গেছে, জেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলররা এলাকাভিত্তিক তালিকা তৈরি করে ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে নিম্নআয়ের মানুষের মাঝে চালসহ নিত্যপণ্য সামগ্রী বিতরণ করবেন। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির এই সময়ে টিসিবির মাধ্যমে চালসহ এসব পণ্য নিম্নআয়ের মানুষের মাঝে অনেকটা স্বস্তি দেবে বলে মনে করছেন টিসিবির কর্মকর্তারা।

এদিকে চালের বাজার স্থিতিশীলতা রাখতে সরকার খাদ্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে নগরী ও জেলায় চালু রেখেছে ওএমএস কর্মসূচি। প্রায় গত ৬ মাসের বেশি সময় ধরে এই কর্মসূচি মহানগরীসহ উপজেলা ও পৌরসভায় চলমান রয়েছে। নগরীতে একজন ক্রেতা ট্রাক কিংবা ডিলারের নির্দিষ্ট দোকান থেকে ৩০ টাকা দামে ৫ কেজি চাল ও ২৪ টাকা দামে ৫ কেজি আটা ক্রয় করতে পারছেন বলে জানান চট্টগ্রাম জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আবদুল কাদের।

জেলা খাদ্য অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, প্রতিদিন নগরীতে ট্রাক ও দোকানে ৫৯ মেট্রিক টন চাল ও ২১ মেট্রিক টন আটা বিক্রি করা হচ্ছে। অপরদিকে প্রতিদিন ১৫ উপজেলায় ৫৯ মেট্রিক টন চাল বিক্রি করা হচ্ছে। এই কর্মসূচি উচ্চমূল্যের বাজারে প্রভাব রাখছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদুই আসামির কাছে তিন লাখ টাকা পাঠিয়েছিলেন বাবুলের বন্ধুর কর্মচারী
পরবর্তী নিবন্ধকক্সবাজার দেখার স্বপ্ন পূরণ হলো না দুই বন্ধুর