ধর্মান্ধ স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী কর্তৃক জাতীয় সংগীত ও জাতীয় পতাকা নিয়ে বিরূপ মন্তব্যের প্রতিবাদে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী কেন্দ্রীয় সংসদ ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল সকালে নগরীর চেরাগী পাহাড় চত্বরে উদীচী চট্টগ্রাম জেলা সংসদ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ সমবেত কন্ঠে জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে কর্মসূচি পালন করেছে। সংগঠনের চট্টগ্রাম জেলা সংসদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট অসীম বিকাশ দাশের সঞ্চালনায় ও সভাপতি সাংবাদিক জসীম চৌধুরী সবুজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উদীচী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি কবি ইউসুফ মাহমুদ, খেলাঘর সংগঠক মোর্শেদুল আলম, আশীষ ধর, শিল্পকলা একাডেমির কার্যকরী কমিটির সদস্য বাপ্পা চৌধুরী, চট্টগ্রাম গ্রুপ থিয়েটার ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম, শিক্ষক শেখ বিবি কাউছার, উদীচী চট্টগ্রাম জেলার সহ–সভাপতি ডা. অসীম কুমার চৌধুরী, সহ–সম্পাদক জয়তী ঘোষ প্রমুখ।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বক্তারা বলেন, ছাত্র–জনতার গণআন্দোলনে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধ, জাতীয় পতাকা, জাতীয় সঙ্গীতসহ এদেশের আপামর জনসাধারণের প্রাণের সব বিষয় নিয়ে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র দেখা যাচ্ছে। গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, একটি ধর্মান্ধ স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী ছাত্র–জনতার অভূতপূর্ব গণঅভ্যুত্থানের মূল সুরকে বিকৃত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। এরা মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনার বিরোধিতা করা থেকে শুরু করে জাতীয় সঙ্গীত, জাতীয় পতাকার উপর আঘাত হানতে শুরু করেছে। কিন্তু মাটি, মানুষ, দেশ, জাতীয় পতাকা ও জাতীয় সংগীতের বিষয়ে কোনো অপশক্তির কাছে উদীচী মাথা নোয়াবে না। এরপর উদীচী শিল্পী কর্মী ও উপস্থিত জনতা সমবেত কন্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন।
এদিকে শুক্রবার বিকেলে একই স্থানে জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্যের প্রতিবাদে চট্টগ্রামের সর্বস্তরের জনতা সমবেত কন্ঠে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করেছে। কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করেন শিক্ষক–সংস্কৃতিকর্মী–চিকিৎসক, আইনজীবী–সাংবাদিক–সাধারণ শিক্ষার্থী, দিনমজুরসহ বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ। প্রায় সকলের হাতে ছিল জাতীয় পতাকা।
এতে বক্তারা বলেন, যিনি জাতীয় সঙ্গীতের অবমননা করে ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছেন তিনি রাষ্ট্রদোহী। সাধারণ জনতা তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চায়। জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্য দানকারী ব্যক্তিকে চট্টগ্রামে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে সাধারণ জনতা। আবারো যদি জাতীয় সঙ্গীতের ওপর কোনো আঘাত আসে চট্টগ্রামের মানুষ প্রতিবাদে রাজপথে নেমে আসবে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।