চট্টগ্রামে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্মাষ্টমী মহাশোভাযাত্রা ও অন্যান্য আয়োজন যাতে সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়, সেজন্য এবারও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) পক্ষ থেকে ব্যাপক নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন, সশস্ত্র বাহিনী, সিটি করপোরেশন ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সমন্বয়ে জন্মাষ্টমীর অনুষ্ঠানে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। গতকাল বুধবার সিএমপির হেডকোয়ার্টার্সে জন্মাষ্টমীর শোভাযাত্রার নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত এক সমন্বয় সভায় নিরাপত্তা সংক্রান্ত এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিএমপির ডিসি (ক্রাইম এন্ড অপারেশনস) মো. রইছ উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। খবর বাসসের।
তিনি আরো বলেন, এবার শুভ জন্মাষ্টমী উৎসব ২০২৫ উপলক্ষে নিরাপত্তা জোরদারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সেগুলো হলো সন্দেহজনক কোনও ব্যক্তি বা বস্তু দেখলে দ্রুত নিকটস্থ পুলিশকে অবহিত করা, র্যালি শুরুর আগে র্যালিতে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিদের পরিচয় নিশ্চিত হয়ে যাত্রা শুরু করা; জন্মাষ্টমী অনুষ্ঠান চলাকালে সব ধর্মের প্রতি সম্মান রেখে অনুষ্ঠান পরিচালনা করতে হবে।
শ্রী শ্রী জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ বাংলাদেশ, কেন্দ্রীয় কমিটির আয়োজনে ১৬ থেকে ১৯ আগস্ট চার দিনব্যাপী জন্মাষ্টমী উৎসব দেশব্যাপী উদযাপিত হবে। ১৬ আগস্ট শনিবার সকাল ১০টায় চট্টগ্রাম নগরীর জে, এম, সেন হল প্রাঙ্গণ থেকে দিনটির সবচেয়ে বড় আকর্ষণ ঐতিহাসিক জন্মাষ্টমীর মহাশোভাযাত্রা বের করা হবে। এ দিন দুপুর ১২টায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ২টায় যুব সম্মেলন, ৩টায় মাতৃ সম্মেলন, বেলা ৪টায় অনুষ্ঠিত হবে সাধু–সন্ত, ঋষি–বৈষ্ণব ও সনাতন ধর্ম মহাসম্মেলন। এছাড়া জন্মাষ্টমী উৎসব উপলক্ষে ১৭ থেকে ১৯ আগস্ট জেএম সেন হলে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। জেএমসেন হল থেকে শুরু হয়ে শোভাযাত্রা কোতোয়ালী মোড়, নিউ মার্কেট, নন্দনকানন ও চেরাগী পাহাড় হয়ে আবারও জেমসেন হলে ফিরে শেষ হবে বলে আয়োজকরা জানান। সিএমপির ডিসি (ক্রাইম এন্ড অপারেশনস) মো. রইছ উদ্দিন বলেন, নামাজ ও আজানের সময় মাইক–লাউড স্পিকার বাজানো থেকে বিরত থাকতে হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তিমূলক প্রচার–প্রচারণা থেকে বিরত থাকতে হবে। তিনি আরো বলেন, এছাড়া রাস্তায় যান চলাচলের প্রতি দৃষ্টি রেখে জন্মাষ্টমী শোভাযাত্রা পরিচালনা করা, হ্যান্ড হেল্ড মেটাল ডিটেক্টর, আর্চওয়ে, সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে। তিনি বলেন, বিভিন্ন মন্দির থেকে আসা শোভাযাত্রার রুটসহ পূজা মণ্ডপের সমস্ত কার্যক্রম ক্যামেরায় ধারণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ অফিস ও হাসপাতালসহ জরুরি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের ফোন ও মোবাইল নম্বর সংরক্ষণ করতে হবে। বিদ্যুতের বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে জেনারেটর প্রস্তুত রাখতে হবে। শোভাযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে নগরীর কয়েকটি সড়কে যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে।