বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে চট্টগ্রামে আহত সাতজনকে পুনর্বাসনের উদ্যোগ এবং সম্মননা প্রদান করা হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে সাতজনকে সম্মাননা ও পুনর্বাসনের এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
মেজর (অব.) আহমেদ ফেরদৌসের সহযোগিতায় চট্টগ্রামের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও সচেতন নাগরিক সমাজ এই উদ্যোগ নেয়। অনুষ্ঠানে আহত সাতজনই প্রধান অতিথি হিসেবে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। তারা হলেন জুনায়েদ ইসলাম, আবুল কাশেম, সৈকত দাস, মো. ইউনুছ, সাগের উল্লাহ, মো. সায়েম ও মো. জুয়েল।
অনুষ্ঠানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য রাসেল আহমেদ বলেন, আন্দোলনে রক্তদানকারী সব আহতদের আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে পুনবার্সনের ব্যবস্থা করবো। তবে, একটা কথা জানিয়ে দিতে চাই–এ বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য ষড়যন্ত্রকারীরা পাঁয়তারা করছে। দিল্লির মদদে দীর্ঘ ১৫–১৬ বছরে এ দেশ পরিচালিত হয়েছে। দিল্লির প্রেসক্রিপশনে ফ্যাসিস্ট মুজিবের খুনি কন্যা শেখ হাসিনা এ বাংলাদেশ চালিয়েছে। আমরা এ দেশে কোন আধিপত্যবাদী দেশের ষড়যন্ত্রকে প্রশ্রয় দেব না। আমরা এ বাংলাদেশে মুজিববাদের কবর রচনা করবো।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ–সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি বলেন, যারা জুলাইকে ভুলে যায় তারা তাদের অস্তিত্বকে ভুলে যাবে। যারা জুলাইকে ভুলে যাবে তারা আমাদের আহত ভাইদের ভুলে যাবে। যে বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য আমরা যুদ্ধে নেমেছিলাম সে বাংলাদেশের জন্য ঐক্যবদ্ধতা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা এমন একটা দেশ গড়তে চাই যে দেশে জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবাই নিরাপদে শান্তিতে বসবাস করবে। অনুষ্ঠানে শহীদ জসিমের মা উপস্থিত থেকে বলেন, আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই। আমার ছেলেকে যারা মেরে ফেলেছে তাদের ফাঁসি চাই। মেজর (অব.) আহমেদ ফেরদৌসের পরিচালনায় এ সময় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ, বিশিষ্ট কবি ও সাহিত্যক ফরহাদ মজহার, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মোহাম্মদ এনাম, আফিয়া, সাইফুল ইসলাম, সাদিয়া ও নীলা আফরোজ প্রমুখ।