আবুল বশর আর মোঃ ফারুক তারা একে অপরের প্রতিবেশী । দীর্ঘদিন যাবৎ তাদের মধ্যে চলছিল বাড়ীর সীমানা নিয়ে বিরোধ। এরই জের ধরে ২০২২ সালের ২১ এপ্রিল আবুল বশরের পরিবার বাড়ীর সীমানায় বাঁশের বেড়া নির্মাণ কাজ শুরু করলে প্রতিবেশী মোঃ ফারুক এবং তার অন্যান্য সহযোগী মিলে পূর্বপরিকল্পিতভাবে দেশী অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে নির্মাণকাজে বাধা দিলে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়।
বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে মোঃ ফারুক এবং তার অন্যান্য সহযোগী মিলে আবুল বশরের স্ত্রী এবং তার ভাইয়ের স্ত্রীকে হত্যার উদ্দেশ্যে দেশীয় তৈরী রামদা, কিরিচ দ্বারা শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে আবুল বশর স্থানীয় লোকজন নিয়ে ভিকটিমদের মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে ভর্তি করান চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
পরে উক্ত ঘটনায় ৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতমনামা আরও ৪/৫ জনকে আসামি করে চট্টগ্রামের আনোয়ারা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন আবুল বশর।
মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি এবং ছায়াতদন্ত অব্যাহত রাখে র্যাব-৭।
১১ জানুয়ারি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এজাহার নামীয় পলাতক ১নং আসামি মোঃ ফারুককে চট্টগ্রাম জেলার কর্ণফুলী থানাধীন শিকলবাহা এলাকায় থেকে গ্রেফতার করা হয়। আটককৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে সে বলে, আইন শৃংখলা বাহিনীর নিকট হতে গ্রেফতার এড়াতে চট্টগ্রাম মহানগরীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করেছিল সে।
র্যাব সূত্রে জানা যায়, সিডিএমএস পর্যালোচনা করে ধৃত আসামি মোঃ ফারুকের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ার থানায় ছিনতাই সংক্রান্তে ১টি মামলার তথ্য পাওয়া যায়।
গ্রেফতারকৃত আসামি সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ারা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।