যাত্রী অধিকার দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি চট্টগ্রাম মহানগর কমিটি ‘যাত্রী হয়রানি ও ভাড়া নৈরাজ্য বন্ধের পদক্ষেপ চাই’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে। গতকাল শনিবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের এস রহমান হলে দিবসের আলোচনা সভায় সংগঠনের সভাপতি সৈয়দ মোকতার উদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। সভায় বক্তারা বলেন, চট্টগ্রামে গণপরিবহনে ভাড়া নৈরাজ্য ও যাত্রী হয়রানি আরো এক দফা বেড়েছে। অনতিবিলম্বে এসব হয়রানি বন্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হপক্ষেপ নিতে হবে।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, লকডাউন পরবর্তী চট্টগ্রামের বিভিন্ন গণপরিবহনে ভাড়া নৈরাজ্য ও যাত্রী হয়রানি আরো এক দফা বেড়েছে। সকালে এক ভাড়া, বিকেলে অন্য ভাড়া, রাত হলে আরেক ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। রোদেলা দিনে এক ভাড়া, বৃষ্টি হলে আরেক ভাড়া আদায় করা হয়। অতীতে চট্টগ্রাম শহর থেকে প্রতিটি উপজেলায় যাতায়াতের বাস নেটওয়ার্ক ছিল। এসব নৈরাজ্যের হাত প্রসারিত করার সুদূর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বর্তমানে সব বাস নেটওয়ার্ক ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। সিএনজি চালিত অটোরিক্সা, ইজিবাইক, মোটরসাইকেল ও টুকটুকি এখন বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামের প্রধান বাহনে পরিণত হয়েছে। যত্রতত্র পার্কিং, যানজট, জলজট ও দুর্ঘটনা প্রধান হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে এসব বাহন। তিনি অনতিবিলম্বে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করে মানসম্মত ৪০০ নতুন বাস নামানোর জন্য সরকারের সংশ্লিষ্টদের প্রতি জোর দাবি জানান। খোরশেদ আলম সুজন বলেন, ন্যায্য ভাড়ায় সঠিক সময়ে দুর্ঘটনামুক্তভাবে যাতায়াতের অন্যতম অধিকার। তিনি যানবাহনের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, নিরাপত্তা, শ্রেণি বৈষম্য এবং রাস্তাঘাটে নির্বিঘ্ন চলাচলে আইনে বাধ্যবাধকতা থাকলেও আমাদের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও দায়িত্বহীনতায় যাত্রী অধিকার ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। তিনি বিআরটিএর অনিয়ম দুর্নীতি ও ট্রাফিক বিভাগের উদাসীনতায় সড়কে যানজট, জনজট, ফুটপাত বেদখলসহ নানা হয়রানির চিত্র তুলে ধরেন। চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. ইমতিয়াজ আহমেদের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন বারভিডার ভাইস প্রেসিডেন্ট ও জেলা পরিষদ সদস্য আলহাজ্ব জাফর আহমেদ, ড. ইদ্রিস আলী, মুক্তিযোদ্ধা মো. রাজা মিয়া, মুক্তিযোদ্ধা এস এম নুরুল আমিন, ওসমান জাহাঙ্গীর। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।