চট্টগ্রামে কোথায় কখন লোডশেডিং চূড়ান্ত হয়নি তালিকা

প্রাথমিকভাবে সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১২টার শিডিউল প্রকাশ পিডিবি বলছে, তেমন প্রভাব পড়বে না

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ২০ জুলাই, ২০২২ at ৫:৫৩ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অঞ্চলে কোথায় কখন লোডশেডিং হবে তার তালিকা চূড়ান্ত হয়নি। পিডিবি চট্টগ্রামের প্রধান প্রকৌশলী রেজাউল করিম জানান, আমরা সব সাবস্টেশন থেকে তালিকা নিয়ে একটি খসড়া পরিকল্পনা ঢাকায় পাঠিয়েছি। সেটা পরিবর্তন করা হয়েছে। আবার পাঠাতে বলেছে। এখন আমরা সেটা চূড়ান্ত করছি। চেষ্টা করছি এই পরিকল্পনা আজকে না হলেও আগামীকাল থেকে করার।

বিদ্যুৎ ও তেলের খরচ কমাতে সরকার একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রতিদিন এক ঘণ্টা করে লোডশেডিংয়ের ঘোষণাও এসেছে। এরপর গতকাল সারা দেশের মতো চট্টগ্রামবাসীরও আলোচনা ও জানার বিষয় ছিল নিজেদের এলাকায় কোন সময় লোডশেডিং থাকবে। এজন্য পত্রিকা অফিসে ফোন করে অনেক পাঠক জানতে চেয়েছেন।

পিডিবির সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা জানিয়েছেন, চট্টগ্রামে স্বাভাবিকভাবে যে রকম লোডশেডিং থাকে, সে রকমই থাকবে। যেভাবে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিংয়ের কথা বলা হচ্ছে সে রকম প্রভাব এখানে পড়বে না। লোডশেডিং নিয়ে সারা দেশের মতো চট্টগ্রামবাসীর মনেও অনেকটা ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সবাই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিংয়ের সময়সীমা জানার জন্য। এদিকে গতকাল বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ওয়েবসাইটে চট্টগ্রাম জোনে সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত সময়ের শিডিউল প্রকাশ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ ১০০ মেগাওয়াট নির্ধারণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী রেজাউল করিম আজাদীকে বলেন, আমাদের সাড়ে চারশ ফিডার রয়েছে। একই সময়ে এতগুলো ফিডার নিয়ন্ত্রণ করা অনেক কঠিন।

লোডশেডিংয়ের বিষয়টি স্থির থাকছে না। ১শ মেগাওয়াটের সম্ভাব্য লোডশেডিং ধরে পরিকল্পনা করার পর যদি ২শ মেগাওয়াট লোডশেডিং করতে হয় সেক্ষেত্রে এসব পরিকল্পনা শতভাগ বাস্তবায়ন করা সম্ভব নাও হতে পারে। আমরা যে শিডিউলটা করব প্রথমে এক-দুদিন এদিক-সেদিক হবে। এরপর সিস্টেমে চলে আসবে।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামে লোডশেডিং বড় জোর ১০০ অথবা তার একটু বেশি হতে পারে। চট্টগ্রামের সব উপকেন্দ্র ও পার্বত্য চট্টগ্রামের উপকেন্দ্রগুলোতে এই লোডশেডিংয়ের মাত্রা উপকেন্দ্র প্রতি বড়জোর ৫ থেকে ৭ মেগাওয়াট হতে পারে। সেটি হতে পারে রোটেশনালি।

জানা গেছে, চট্টগ্রামে এখন বিদ্যুতের চাহিদা থাকে ১৩শ থেকে ১৪শ মেগাওয়াট। অনেক সময় দেড় হাজার মেগাওয়াটও চাহিদা থাকে। গতকাল ২শ মেগাওয়াট লোডশেডিং ছিল বলে জানান প্রধান প্রকৌশলী।

পূর্ববর্তী নিবন্ধগরমে সরকারি কর্মকর্তাদের স্যুট-কোট পরতে মানা
পরবর্তী নিবন্ধকোনো পরিকল্পনাই দেখেনি আলোর মুখ