চট্টগ্রামে করোনা সংক্রমণ বাড়াচ্ছে অমিক্রনের উপধারা বিএ.২

সিভাসুর গবেষণা

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ at ৭:৪৭ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামের ১১টি নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সে ৮টিতে ভাইরাসের অমিক্রন ধরন শনাক্তের তথ্য উঠে আসে সমপ্রতি পরিচালিত এক গবেষণায়। চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক দল গবেষক এ গবেষণা চালান। গত ২০ জানুয়ারি এ গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। হিসেবে চট্টগ্রামের ৭৩ শতাংশ নমুনায় অমিক্রন ধরা পড়ে ওই সময়। এবার ১০টি নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সে (জীবন রহস্য উন্মোচনে) সবকয়টিতেই (শতভাগ) অমিক্রন শনাক্তের তথ্য জানাল চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) গবেষকরা। গবেষকরা জানান, অমিক্রন শনাক্তকৃত নমুনাগুলো চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকার বিভিন্ন বয়সের করোনায় আক্রান্ত রোগী রয়েছেন। এদের মধ্যে ৯ জন পুরুষ ও একজন মহিলা। চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন অমিক্রনের উচ্চ সংক্রমণশীল উপধারা ‘বিএ.২’ শনাক্ত করার কথা জানিয়ে এটির কারণে সংক্রমণে ঊর্ধ্বগতি দেখা যাচ্ছে বলে মনে করছেন গবেষকরা। সিভাসু উপাচার্য অধ্যাপক গৌতম বুদ্ধ দাশের নির্দেশনায় এবং পোল্ট্রি রিসার্চ ও ট্রেনিং সেন্টারের (পিআরটিসি) আর্থিক সহায়তায় এ গবেষণা দলে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়টির অধ্যাপক ড. পরিতোষ কুমার বিশ্বাস, অধ্যাপক ড. শারমিন চৌধুরী, সহকারী অধ্যাপক ডা. ইফতেখার আহমেদ রানা, ডা. প্রণেশ দত্ত, ডা. মো. সিরাজুল ইসলাম, ডা. তানভীর আহমদ নিজামী। গবেষণায় দেখা যায়, সংক্রমণের শুরু থেকে বর্তমান পর্যন্ত বিভিন্ন সময় ভাইরাসটির ৬৮টি বার জিনগত পরিবর্তন হয়েছে। দশটি নমুনার মধ্যে সবকটি নমুনায় অমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট (ই১.১৫২৯) এর উপস্থিতি রয়েছে। এরমধ্যে ৪টি নমুনায় অমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের অধিকতর সংক্রমণশীল লিনিয়েজ (বিএ২) শনাক্ত করা হয়। জিনোম সিকোয়েন্সের জন্য যে দশজন করোনা আক্রান্ত রোগীর নমুনা সংগ্রহ করা হয়, সেসব রোগীদের উপসর্গ ছিল খুবই মৃদু। অধিকাংশ রোগীর গলা ব্যথা, সর্দি ও মৃদু জ্বর ছাড়া মারাত্মক কোনো লক্ষণ ছিল না বলে গবেষকরা জানিয়েছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদুই কিমি হেঁটে স্কুলে আসা-যাওয়া
পরবর্তী নিবন্ধমৃত্যু নিশ্চিত করতেই ফের চাপা দেওয়া হয় তাদের!