সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখার দাবিতে চতুর্থ দিনের মতো চট্টগ্রাম নগরে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ও নগরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। এ সময় নগরে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে সাধারণ যাত্রীদের। গতকাল সোমবার বিকেল ৫টার দিকে নগরীর ষোলশহর স্টেশন থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বের হয়। এ সময় শহরের ২ নম্বর গেট, জিইসি, ওয়াসা, লালখান হয়ে টাইগারপাস এলাকা পর্যন্ত যায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
এর আগে বিকেল পৌনে চারটার দিকে নগরের ষোলশহর রেলস্টেশনে অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। এতে কক্সবাজার থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসা পর্যটক এক্সপ্রেস আটকে যায়। অবশ্য আধা ঘণ্টা পর শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেন। এরপর ট্রেন ঢাকার উদ্দেশে চলে যায়।
শিক্ষার্থীদের অবরোধের কারণে পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেনটি ষোলশহর স্টেশন থেকে প্রায় তিনশ মিটার দূরে মুরাদপুর এলাকায় আটকে ছিল। ওই এলাকায় দুটি রেলক্রসিং রয়েছে। ট্রেনটি দুটি রেলক্রসিংয়ের মধ্যেই আটকে ছিল। এর ফলে নগরের মুরাদপুরের সঙ্গে অক্সিজেন এলাকার সড়কের যান চলাচল ব্যাহত হয়। পাশাপাশি ফরেস্ট গেট এলাকায়ও যানজট দেখা দেয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও চবি অধিভুক্ত কলেজের ব্যানারে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় শিক্ষার্থীদের ‘সারা বাংলা খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’, ‘মেধা না কোটা? মেধা–মেধা’, ‘মেধাবীদের কান্না, আর না, আর না, কোটার বিরুদ্ধে–লড়াই হবে একসাথে’ প্রভৃতি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
এর আগে গত রোববার বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে চট্টগ্রাম নগরীর ষোলশহর স্টেশনে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে দলে দলে যোগ দেয় শিক্ষার্থীরা। পরে ৪টার দিকে তারা শাটলযোগে নগরীর ষোলশহর স্টেশন থেকে একটি মিছিল নিয়ে ২ নম্বর গেট অবরোধ করে রাখেন তারা।
জানতে চাইলে চবির অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী মোবারক হোসেন বলেন, আমরা আমাদের ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য আজকে আন্দোলনে নেমেছি। দাবি আদায় না করে ঘরে ফিরব না। যদি মেধাবীদের সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা না হলে দেশ থেকে একসময় মেধাপাচার হয়ে যাবে এতে আমরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হবো ঠিক তেমনি আমাদের এ দেশও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।