দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান শেষে মুক্তি পেয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও রাজনৈতিক অভিযাত্রা চিত্রিত করে শ্যাম বেনেগালের নির্মিত বায়োপিক ‘মুজিব : একটি জাতির রূপকার’। বেলা তিনটায় নগরীর সুগন্ধা সিনেমা হলের পর্দায় উদ্বোধনী শোতে ছবিটি দেখতে নানা শ্রেণি–পেশার দর্শকের ঢল নামে। সন্ধ্যা ছয়টার প্রদর্শনীতেও একই চিত্র। গতকাল শুক্রবার সিনেমা হলগুলোতে ভীড় জমান ইতিহাস প্রিয় অনুসন্ধিৎসু দর্শকরা। পরিবার পরিজন নিয়ে ছোটেন প্রেক্ষাগৃহে। বলেন ইতিহাসের সঠিক তথ্য জানতেই হলমুখী তারা।
সুগন্ধা সিনেমা হলের এমডি সাইফ হোসাইন আজাদীকে জানান, ২১৬ আসনের এই সিনেমা হলে ছবিটির উদ্বোধনী দিনে সব শো ছিল ‘হাউসফুল’। পরিবার পরিজন আর বন্ধু–বান্ধব নিয়ে এসেছেন অনেকে। সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে সিনেমাটি দেখতে অভিভাবকদের অনুরোধ জানান তিনি। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে নির্মিত এই চলচ্চিত্র প্রদর্শনীতে দীর্ঘদিন পর দর্শক সমাগম হওয়ায় উচ্ছ্বসিত তিনি। সুগন্ধার পাশাপাশি সিনেমা প্যালেস, বালি আর্কেডে স্টার সিনেপ্লেক্স, ফিনলে স্কয়ারের সিলভারস্ক্রিনেও ছবিটি মুক্তি পেয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর জীবনটাই যেন এক মহাকাব্য, তার জীবনই যেন এক চিত্রনাট্য। গ্রামের একটি ছেলে থেকে একটি জাতির রূপকার। তাকে নিয়ে আগেও বেশ কিছু ছবি হয়েছে, তবে এমন বিশাল ক্যানভাসে বঙ্গবন্ধুকে তুলে ধরা এই প্রথম। ভারতের প্রখ্যাত নির্মাতা শ্যাম বেনেগাল তার মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন, বঙ্গবন্ধুকে তুলে এনেছেন সেলুলয়েডের ফিতায়। পরিবারের ছোট সদস্যদেরও দেখা যায় অভিভাবকদের সাথে। অভিভাবকরা বলছেন নতুন প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস জানানো তাদের দায়িত্ব। বঙ্গবন্ধুর জীবন আর কর্ম যেমন মানুষকে উদ্দীপ্ত করেছে, উদ্বেলিত করেছে, তেমনি ঘাতকের হাতে সপরিবারে তার করুণ মৃত্যু কাঁদিয়েছে দর্শকদের।