চট্টগ্রামে ই-অরেঞ্জের মালিকসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ৭ অক্টোবর, ২০২১ at ৫:৩২ পূর্বাহ্ণ

প্রতারণার মাধ্যমে সাড়ে ১১ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে মামলা হয়েছে। টাকা পরিশোধ করেও পণ্য না পাওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির মালিক সোনিয়া মেহজাবিনসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করা হয়। বাকীরা হলেন, তার স্বামী মাসুকুর রহমান (৪৬), তার ভাই ও সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা শেখ সোহেল রানা (৪৭), প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা মো. আমানুল্লাহ চৌধুরী (৪৭), বীথি আক্তার (৩৫), খালু জায়েদুল ফিরোজ (৫৬) ও নাজমুল হাসান রাসেল (৪৪)। গতকাল বুধবার মহানগর হাকিম সরোয়ার জাহানের আদালতে নগরীর রেয়াজুদ্দিন বাজারের নুরুল আবছার পারভেজ নামের এক ব্যবসায়ী গ্রাহক এ মামলাটি করেন।
মামলায় ভুক্তভোগী হিসেবে আরও দুজনের নাম উল্লেখ করা হয়। তারা হলেন, গ্রাহক মোর্শেদ সিকদার ও মাহমুদুল হাসান খান। বাদীর আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ আজাদীকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, নুরুল আবছার পারভেজ, মোর্শেদ সিকদার ও মাহমুদুল হাসান খান তিনজনই ই-অরেঞ্জের প্রতারণার শিকার হয়েছেন। তবে মামলায় শধু নুরুল আবছার পারভেজ বাদী হয়েছেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, ই-অরেঞ্জ সারা দেশে লাখ লাখ গ্রাহকের সাথে প্রতারণা করেছে। চট্টগ্রামের অনেকের মতো আমার মক্কেলও এর মধ্যে রয়েছে। আমার মক্কেলও প্রতারণার শিকার হয়েছে। সাড়ে ১১ লাখ টাকা হাতিয়েছে আমার মক্কেল থেকে। এ টাকা ফেরত চেয়ে আমরা মামলা করেছি।
মামলার আরজিতে বলা হয়, গত ২৭ মে পর থেকে বিভিন্ন সময় পণ্য ক্রয় করার জন্য ই-অরেঞ্জকে অর্থ প্রদান করেন নুরুল আবছার পারভেজসহ অপর দুইজন গ্রাহক। কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পর এমনকি অদ্যাবধিও তারা গ্রাহকদের কোনো পণ্য সরবরাহ করেনি। অথচ অর্ডার নেয়ার পর থেকে ই-অরেঞ্জ কর্তৃপক্ষ ফেসবুকে নোটিশের মাধ্যমে বিভিন্ন সময় পণ্য সরবরাহের আশ্বাস দেয় গ্রাহকদের।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআগামী বছর থেকে আগে নিবন্ধন, তারপর অনলাইন পোর্টাল : তথ্যমন্ত্রী
পরবর্তী নিবন্ধসবার জন্য ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে কাজ করুন : প্রধানমন্ত্রী