চট্টগ্রামে আয়কর আদায় ছাড়াল লক্ষ্যমাত্রা

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ২৮ নভেম্বর, ২০২১ at ৭:০৩ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামে আয়কর আদায় লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। প্রাথমিকভাবে অর্থবছরের প্রথম চার মাসে ১৫৫ কোটি ৮৯ লাখ টাকা বেশি আদায় হয়েছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে বছর শেষে চট্টগ্রাম থেকে ১৮ হাজার কোটি টাকার আয়কর আদায় হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরে দেশের অভ্যন্তরীণ খাত থেকে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। এই রাজস্বের প্রায় এক তৃতীয়াংশ বা ১ লাখ ৩ হাজার কোটি টাকার আয় হবে আয়কর থেকে। পুরো দেশের ৬৮ লাখ ১৭ হাজার ৬০৩ জন করদাতা আয়কর হিসেবে এই বিশাল অংকের অর্থ যোগান দেবেন। দেশের ১ লাখ ৩ হাজার কোটি টাকার আয়কর লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে চট্টগ্রাম থেকে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৭ হাজার ৫শ কোটি টাকা। চট্টগ্রামের চারটি করাঞ্চলের ৪ লাখ ২২ হাজার ৪২৫ জন করদাতার কাছ থেকে এই অর্থ আদায় হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়। অবশ্য গত বছর চট্টগ্রামের চারটি করাঞ্চলে সর্বমোট রিটার্ন দাখিল করেছিলেন ২ লাখ ৩৭ হাজার ৩৬৪টি। চলতি বছর ট্যাক্সনেটের সম্প্রসারণ ঘটিয়ে করদাতার সংখ্যা বাড়ানোর ব্যাপারেও কাজ করছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।
চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত চট্টগ্রামে ট্যাক্স আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ হাজার ২শ ৭৫ কোটি ২৭ লাখ টাকা। কিন্তু গত অক্টোবর পর্যন্ত কর আদায় হয়েছে ৪ হাজার ৪শ ৩১ কোটি ১৬ লাখ টাকা। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৫৫ কোটি ৮৯ লাখ টাকা বেশি ট্যাঙ আদায় করা হয়েছে। বিষয়টি চট্টগ্রামের আয়কর বিভাগকে আশাবাদী করে তুলেছে। আশা করা হচ্ছে, এই ধারা অব্যাহত রাখা গেলে চলতি বছর সাড়ে ১৭ হাজার কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ১৮ হাজার কোটিরও বেশি টাকার ট্যাঙ আদায় হবে, যা অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় বেশি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, আয়কর প্রদানে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে নানা ধরনের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। চলতি নভেম্বর মাসের শুরু থেকে আয়কর অফিসে উৎসবমুখর পরিবেশে রিটার্ন দাখিল ও কর প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। হয়রানি ছাড়া যে কোনো ব্যক্তি নিজের কর নিজেই প্রদান করতে পারছেন। আয়কর বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করছেন। আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত উৎসবমুখর পরিবেশে রিটার্ন দাখিলের সুযোগ রয়েছে।
চট্টগ্রাম করাঞ্চল-১ এর কমিশনার সৈয়দ মোহাম্মদ আবু দাউদ বলেন, লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি কর আদায় হয়েছে। মানুষ উৎসাহের সাথে কর প্রদান করছেন। আমরাও কর প্রদানে মানুষকে নানাভাবে উৎসাহিত করছি। কর প্রদানের ব্যাপারে মানুষের উৎসাহ অনেক বেড়েছে। আয়কর বিভাগের এই চেষ্টার ফলে কর আদায় লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআয়কর বিবরণী জমার সময় বাড়ছে না : এনবিআর
পরবর্তী নিবন্ধবায়েজিদে ‘বড় পাহাড়ে’ বড় কলোনি