চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় আরও ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৫ জন নগরীর ও ২ জন নগরীর বাইরের বাসিন্দা। গত বছরের ৩ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত চট্টগ্রামে করোনায় মোট ৫৩৫ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় চট্টগ্রামে নতুন ৭ জনের মৃত্যুর পাশাপাশি নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ১০৬ জন। ৬৮৪ টি নমুনা পরীক্ষায় এ ১০৬ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। নতুন শনাক্ত ১০৬ জনসহ চট্টগ্রামে করোনা সংক্রমিত শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িযেছে ৫০ হাজার ২৮০ জনে। এর মধ্যে মহানগরীর বাসিন্দা ৪০ হাজার ২৯৯ জন ও জেলার ৯ হাজার ৯৮১ জন। আক্রান্তদের মাঝে এ পর্যন্ত ৫৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে চট্টগ্রামে। এর মধ্যে মহানগরীর ৩৯৬ জন ও জেলার ১৩৯ জন। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য মতে, গত ২৪ ঘন্টায় ৬৮৪ টিসহ এ পর্যন্ত মোট ৪ লাখ লাখ ৩৮ হাজার ২ টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে চট্টগ্রামে। এর মধ্যে করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে ৫০ হাজার ২৮০ জনের। গত ২৪ ঘন্টায় চট্টগ্রামে করোনা শনাক্ত ১০৬ জনের মধ্যে ৮৭ জন নগরী ও ১৯ জন জেলার বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। তথ্য মতে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ২৪ ঘন্টায় ১২৭ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে মহানগরীর ২৪ জন ও জেলার ১১ জন পজিটিভ শনাক্ত হয়। বিআইটিআইডির ১৭৪ নমুনা পরীক্ষায় নগরীর ১০ জন পজিটিভ শনাক্ত হয়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৭ টি নমুনা পরক্ষায় ১ জন নগরীর ও ১ জন জেলার বাসিন্দার পজিটিভ শনাক্ত হয়। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারী ইউনিভার্সিটিতে ১১৮ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে নগরীর ৯ জন ও জেলার ১ জনের পজিটিভ শনাক্ত হয়। শেভরণে ১৫০ টি নমুনা পরক্ষা করা হলে ১৮ জন নগরীর ও জেলার ২ জনের পজিটিভ শনাক্ত হয়। চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে ৩০ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে নগরীর ৮ জনের পজিটিভ শনাক্ত হয়।
আরটিআরএল-এ ৪৬ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ষোল জন নগরীর ও জেলার দুইজনের পজিটিভ শনাক্ত হয়। চট্টগ্রাম মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ১২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ১ জন নগরীর ও ১ জন জেলার বাসিন্দার করোনা পজিটিভ হয়। সিভিল সার্জন অফিস জানায়, এখন পর্যন্ত বয়সভিত্তিক হিসেবে দশ বছরের কম বয়সী শিশুরাই করোনায় সবচেয়ে কম আক্রান্ত হচ্ছেন। আর ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সীরাই সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। দশ বছরের কম বয়সীরা ২.৫০ শতাংশ, ১১ থেকে ২০ বছর বয়সীরা ৭.৭ শতাংশ, ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সীরা ১৯.৫৮ শতাংশ, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সীরা ২৩.৫৭ শতাংশ, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সীরা ১৮.৪৩ শতাংশ, ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সীরা ১৫.২৫ শতাংশ ও ৬০ থেকে উর্দ্ধের বয়সীরা ১৩.৫৭ শতাংশ হারে আক্রান্ত হচ্ছেন। চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি আজাদীকে গতকাল সোমবার এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।