গান গাইতে গাইতে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখা এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার আলোচিত ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আরও ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো– নগরের খুলশী থানাধীন ঢেবারপাড় এলাকার এমএস দুলালের ছেলে মেহেদী হাসান সাগর (২৮) ও একই এলাকার মোহাম্মদ শান্ত (২৮)।
এর আগে গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাতে অভিযান চালিয়ে ঘটনায় জড়িত ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছিল পাঁচলাইশ থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো– ফরহাদ আহমেদ চৌধুরী জুয়েল (৪২), আনিসুর রহমান ইফাত (১৯) ও ১৬ বছর বয়সী এক কিশোর।
র্যাব–৭ সূত্র জানিয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ২০ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, গান গাইতে গাইতে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখা এক যুবককে পিটিয়ে মারছে কয়েকজন ব্যক্তি। গত ১৪ আগস্ট এ ঘটনা ঘটে। মারধরে মৃত্যুবরণকারী যুবকের নাম মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন (২৪)। তাকে নগরীর ২ নম্বর গেট এলাকায় আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারের নিচে বেঁধে রাখা হয়েছিল। তিনি নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি থানাধীন পাঁচবাড়িয়া ইউনিয়নের নদনা গ্রামের মিয়া জান ভূঁইয়া বাড়ির মৃত মোহাম্মদ হারুনের পুত্র।
শাহাদাত নগরীর বিআরটিসি এলাকার বয়লার কলোনিতে থাকতেন এবং ফলমণ্ডিতে একটি দোকানে চাকরি করতেন। ১৪ আগস্ট রাতে প্রবর্তক এলাকা থেকে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ১৫ আগস্ট শাহাদাতের চাচা মো. হারুন বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন। র্যাব–৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) মো.শরীফ–উল–আলম জানান, গান গাইতে গাইতে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখা এক যুবককে পিটিয়ে মারার ঘটনায় রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে খুলশীর ঢেবারপাড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে মেহেদী হাসান সাগরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্য মতে জামতলা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় মোহাম্মদ শান্তকে। তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেনকে হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত মেহেদি হাসান সাগর গত ১৩ আগস্ট ভিকটিম শাহাদাত হোসেনকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে তাকে অপহরণ করে ভিকটিমের স্ত্রীর কাছে মুক্তিপণ দাবি করে বলে জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করে। এছাড়াও গ্রেপ্তার মোহাম্মদ শান্ত ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তাদেরকে পাঁচলাইশ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও র্যাব জানায়।