চট্টগ্রামে আধিপত্য বিস্তারের জেরে মারধরের শিকার হয়ে এক বিএনপি নেতা খুন হয়েছেন। ২৮ অক্টোবর (সোমবার) রাতে বাস্তুহারা ইউনিট কমিটির বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও ২৭নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা নূর আলম মারধরের শিকার হয়ে আজ শনিবার নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
৪ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে শনিবার সকালে তার মৃত্যু হয়।
তার এমন মৃত্যুতে শোকার্ত পরিবারসহ এলাকাবাসী। আজ দুপুর ১১টায় নিহত বিএনপি নেতার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় হৃদয় বিদারক দৃশ্য। বুকফাটা আর্তনাদ করছেন ভাই হারা তার ৬ বোন। দুই দিন আগেও যাদের সুখ দুঃখের খবর নিয়েছিলেন ভাই নূর আলম। বোনের হাতে লোপনায় খেয়েছেন ভাতও।
নিহত বিএনপির নেতার বোন আজাদীকে জানান, সকালে দেখেছি ভালো মানুষ কিন্তু রাতে লাশ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন নূর আলম। তার দাবি দোকানের মালামাল লুটে বাঁধা দেন তার ভাই। এতে রাতের আঁধারে মাথায় আঘাত করেন ২০ জন আওয়ামী সন্ত্রাস। তবে তারা নব্য বিএনপি সাজার চেষ্টা করছে।
স্থানীয় নেতাদের দাবি ভোগ দখলের প্রতিবাদ করায় পরিকল্পিতভাবে আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে তাকে। এ ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে। সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন তারা। তবে পুলিশ বলছে ভিন্ন কথা। থানা সূত্রে জানা যায়, যুবদলের নেতাদের সাথে অধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বাকবিতন্ডায় জড়ান বিএনপি নেতা নূর আলম।
এ বিষয়ে ডাবলমরিং থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী মো. রফিক আহমেদ আজাদীকে বলেন, নূর আলমের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মামলার প্রেক্ষিতে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।