অনুমোদনহীন ও লাইসেন্সবিহীন বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের (ল্যাব) বিরুদ্ধে আজ সোমবার থেকে ফের মাঠে নামছে চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য বিভাগ। আজ থেকে শুরু হয়ে টানা চার দিন এ অভিযান চালানো হবে। চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনার প্রেক্ষিতে অনুমোদনহীন স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এ অভিযান চালানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, অনুমোদনহীন বেসরকারি স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে গতকাল রাত ১০টায় অনলাইনে সভা অনুষ্ঠিত হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর, পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) মো. বেলাল হোসেনসহ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সভায় যুক্ত ছিলেন। জেলা সিভিল সার্জনসহ স্বাস্থ্য বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা সভায় অংশ নেন। সভায় অনুমোদনহীন স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সোমবার থেকে পুনরায় অভিযানের নির্দেশনা দেয়া হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই নির্দেশনার প্রেক্ষিতে আজ থেকে অনুমোদনহীন স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আবারো মাঠে নামার কথা জানিয়েছেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন।
তিনি বলেন, সবকিছু ঠিক থাকলে টানা চার দিন এ অভিযান পরিচালনা করব। অভিযানে যেসব প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স হালনাগাদ পাওয়া যাবে না, ভ্যাট-ট্যাঙ বকেয়া পাওয়া যাবে, সেসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হবে। আমাদের না জানিয়ে বা কোন ধরনের আবেদন না করে সেবা কার্যক্রম চালু করেছে, এমন স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানও সিলগালা করে দেয়া হবে। তাছাড়া কোনো ল্যাব বা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের অধীনে একাধিক কালেকশন সেন্টার থাকলে ওইসব সেন্টারের জন্য আলাদা আলাদা লাইসেন্স দেখাতে হবে। আলাদাভাবে ভ্যাট-ট্যাঙ পরিশোধ করতে হবে। আলাদাভাবে লাইসেন্স ও ভ্যাট-ট্যাঙ পরিশোধের কাগজপত্র দেখাতে না পারলে ওইসব কালেকশন সেন্টারও বন্ধ করে দেয়া হবে। এ বিষয়ে আগে কিছুটা অস্পষ্টতা ছিল। কিন্তু রোববারের সভায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এডিজি মহোদয় বিষয়টি স্পষ্ট করে দিয়েছেন। আমরা সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নেব।
এর আগে মে মাসে দেশজুড়ে অনুমোদনহীন স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযানে নামে স্বাস্থ্য বিভাগ। ওই সময় চট্টগ্রামে বেশ ক’টি স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়। তবে কাগজপত্র হালনাগাদের পর বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানকে পুনরায় কার্যক্রম চালুর অনুমতি দেয় সিভিল সার্জন কার্যালয়।