চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যায় চিন্ময়সহ ৩৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ

| সোমবার , ২৫ আগস্ট, ২০২৫ at ৪:২২ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার মামলায় পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন আদালত। আজ সোমবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলাউদ্দিন মাহমুদ শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালি অঞ্চল) মাহফুজুর রহমান গত ১ জুলাই সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় দাসসহ ৩৮ জনকে আসামি করে চট্টগ্রাম আদালতে অভিযোগপত্রটি জমা দেন। তবে তদন্তে পাওয়া সুকান্ত নামের এক আসামির নাম অভিযোগপত্র থেকে বাদ দেওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষ আপত্তি জানান। এর পরিপ্রেক্ষিতে মামলার বাদী আজ সুকান্ত নামের ওই ব্যক্তিকেও মামলায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আদালতে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত বাদীর আবেদন মঞ্জুর করে মোট ৩৯ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৫ মে আদালত চিন্ময় দাসকে আইনজীবী হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখান। আজ চিন্ময়কে আদালতে হাজির করা হয়নি। তবে তিনি চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ভার্চ্যুয়ালি শুনানিতে অংশগ্রহণ করেছেন।

গত বছরের ২৬ নভেম্বর সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় দাসের জামিনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের মধ্যে আইনজীবী সাইফুলকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ হত্যার ঘটনায় তাঁর বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলা, কাজে বাধা এবং আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও পাঁচটি মামলা হয়। ছয়টি মামলায় গ্রেপ্তার হন ৫১ জন।

আদালত সূত্র জানায়, সাইফুল হত্যার আসামিদের মধ্যে চন্দন দাস, রিপন দাস ও রাজীব ভট্টাচার্য আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এতে উল্লেখ করা হয়, আইনজীবীর ঘাড়ে বঁটি দিয়ে দুটি কোপ দেন রিপন দাস। আর কিরিচ দিয়ে কোপান চন্দন দাস। পরে রাস্তায় পড়ে থাকা সাদা শার্ট ও কালো প্যান্ট পরা এই আইনজীবীকে লাঠি, বাটাম, ইট, কিরিচ ও বঁটি দিয়ে তাঁরা ১৫ থেকে ২০ জন পিটিয়ে হত্যা করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকক্সবাজারে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত মা-মেয়েরও মৃত্যু
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে চার পলিথিন কারখানায় অভিযান, জরিমানা ৫ লাখ