চট্টগ্রাম নগরের খাজা রোড মাইজপাড়ায় অনুমোদন ছাড়াই পানি উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের পাশাপাশি নকল তেল তৈরির অভিযোগে একটি পানি প্যাকেজিং ফ্যাক্টরি সিলগালা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। একই অভিযানে আরও তিনটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয় যৌথভাবে এ অভিযান চালায়।
অভিযানে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের একটি দল সহায়তা করে।
ভোক্তা অধিদপ্তর জানায়, মাইজপাড়ার ‘সততা প্যাকেজড ড্রিংকিং ওয়াটার’ নামের ওই ফ্যাক্টরিটি বিএসটিআইয়ের অনুমোদন ছাড়াই পানি প্রক্রিয়াজাত ও বাজারজাত করছিল। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির আড়ালে নকল ‘স্টারিং পাওয়ার অয়েল’ উৎপাদন করা হচ্ছিল। এ অপরাধে ফ্যাক্টরিটিকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয় এবং সাময়িকভাবে সিলগালা করা হয়।
এ ছাড়া একই এলাকায় মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির দায়ে জয়নাব মেডিকেল হল ও জননী মেডিসিন হলে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা আদায় করা হয়। আর মেয়াদবিহীন মিষ্টি বিক্রির দায়ে আল হাসান নামের এক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় উপপরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ। সঙ্গে ছিলেন সহকারী পরিচালক মো. আনিছুর রহমান ও সহকারী পরিচালক মাহমুদা আক্তার। অভিযানের ছবি ধারণ করেন অধিদপ্তরের ক্যামেরাম্যান মো. আফতাবুজ্জামান।
ভোক্তা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলেন, ভোক্তাদের স্বার্থ রক্ষায় এ ধরনের নিয়মিত অভিযান চলবে।